বাসস
  ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ২০:৩৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’-এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে র‌্যালি, চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। পরে উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উদ্বোধনের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় ও ভিক্টোরিয়া পার্ক পরিক্রমা করে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে সাজিদ ভবনের নিচতলায় চারুকলা অনুষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম ২০২৫’ শীর্ষক চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, “২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এর ফলে আজ আমরা শিক্ষা ও গবেষণার নানা কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করতে পারছি। দায়িত্ব গ্রহণের সময় শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বাজেট ছিল অত্যন্ত সীমিত; বর্তমানে তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা একাডেমিক উৎকর্ষের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও অগ্রগতির জন্য কাজ করছি। নিয়মিত ক্লাস মনিটরিং সিস্টেম অব্যাহত থাকবে এবং ফলাফল প্রকাশে অযথা বিলম্ব যেন না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের গবেষণায় শিক্ষার্থীদের সহকারী হিসেবে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।”

উপাচার্য জানান, শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গবেষণা সপ্তাহ’ আয়োজন করা হবে, যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহ জোগাবে। আবাসন সংকট নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ চলছে এবং আগামী বছরের মধ্যে আংশিক সমাধান সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও মর্যাদা রক্ষায় আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপই হবে আন্তরিকতার সঙ্গে, আর সেই প্রচেষ্টায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী-সবার সম্মিলিত প্রয়াসই হবে আমাদের প্রধান শক্তি।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে ‘জুলাই বিপ্লব ২০২৪ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ : সুযোগ, সমস্যা ও উত্তরণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করেন উপাচার্য। দিবস উপলক্ষ্যে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী’-তে অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।