বাসস
  ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৪৪

টাইফয়েড টিকাদানে এগিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ

এগিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ টাইফয়েড টিকাদানে। ছবি : বাসস

ময়মনসিংহ, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ময়মনসিংহ বিভাগে টাইফয়েডের টিকা গ্রহণের হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ যা ৯৫ শতাংশেরও বেশি। 

তাছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে শেরপুর জেলা টিকাদানে এগিয়ে রয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যে ৯৯.১০ শতাংশ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। টাইফয়েড টিকাদানে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম পেশাজীবীদের সচেতন ও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জেলায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের এক পরামর্শমূলক কর্মশালায় বক্তারা এ তথ্য জানান।

রোববার সকালে জেলা পরিষদের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়নাধীন ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রায় ৮০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। 

অংশগ্রহণকারীরা টিসিভি টিকার কার্যকারিতা, নিরাপত্তা, টিকাদানের সময়সূচি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেন।

কর্মশালায় ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আলতাফ-উল-আলম বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টিসিভি টিকাদান কর্মসূচি সময়োপযোগী উদ্যোগ। গণমাধ্যমের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এই বার্তা জনগণের সর্বস্তরে পৌঁছানো সম্ভব নয়।’

শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহম্মদ হিরুজ্জামান এনডিসি সাংবাদিকদের টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।


সভাপতির বক্তব্যে তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘পোলিও ও কলেরার মতো রোগ প্রতিরোধে গণমাধ্যমের অবদান অনস্বীকার্য। টিসিভি টিকাদান কর্মসূচিতেও গণমাধ্যমের শক্তিশালী অংশগ্রহণ একটি সফল জাতীয় উদ্যোগে পরিণত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত যুগ্মসচিব মো. আলতাফ হোসেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ, ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. প্রদীপ কুমার সাহা, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম, ইউনিসেফ ময়মনসিংহ বিভাগের চিফ ফিল্ড অফিসার মো. ওমর ফারুক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বয়ক ডা. নুসরাত আজরিন মহসিন।

কর্মশালার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক ও কর্মশালার পরিচালক সুমনা পারভীন, উপপরিচালক আইরিন সুলতানা, সহকারী পরিচালক নাফিস আহমেদ ও তানজিম তামান্না।