শিরোনাম
সাতক্ষীরা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্বখাদ্য দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় পুষ্টি ক্যাম্পেইন ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকার ও ইফাদ (ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালাচারাল ডেভেলপমেন্ট) এর যৌথ অর্থায়নে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম প্রুভড নিউট্রিশন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ আয়োজন করে।
‘খাদ্য ও পুষ্টি, সবার জন্য একটি সুস্থ ভবিষ্যৎ গড়া’ প্রতিপাদ্যে দিবসের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইফাদ এর কান্ট্রিডিরেক্টর ড. ভ্যালেন্টাইন আচানচো।
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন গেইন এর পোর্টফোলিও লিড ড. আশেক মাহফুজ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম¥দ ইমদাদুল হক, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, ফাও এর ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. দিয়া স্যানো প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সভায় বক্তারা বলেন, জীবনের প্রথম পাঁচ বছরে স্বাস্থ্যকর খাবার শুধু শিশুর শারীরিক বিকাশকেই নয়, মস্তিকের বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে যা পরবর্তীতে জাতির বুদ্ধি বৃত্তিক সক্ষমতায় অবদান রাখে। স্থানীয়ভাবে পাওয়া পুষ্টিকর খাবার দিয়ে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের মান উন্নত করলে শেখার ক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা এবং সবার জন্য একটি সুস্থ ভবিষ্যতের ভিত্তি আরও মজবুত করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্ব ছিল পুষ্টিকর রান্না প্রতিযোগিতা, যেখানে স্থানীয় নারী কৃষকরা পুষ্টিকর খাবার তৈরিতে নিজেদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা প্রদর্শন করেন। একই সঙ্গে স্থানীয় কৃষকদের একটি দল পুষ্টি-ভিত্তিক একটি নাটক মঞ্চস্থ করেন।
নাটকটিতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শিশু পুষ্টি, কিশোর-কিশোরী পুষ্টি, মাতৃপুষ্টি, প্রবীণদের পুষ্টি এবং কৃষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব নিয়ে বার্তা তুলে ধরা হয়। নাটকটির মূল উদ্দেশ্য ছিল সচেতনতা বৃদ্ধি ও আচরণগত পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত করা।
পরে সেখানে কুইজ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়, যেখানে নারী ও যুবকরা নিজেদের জ্ঞান যাচাই এবং নতুন তথ্য শেখার সুযোগ পান। যার লক্ষ্য ছিল কমিউনিটি পর্যায়ে পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা ও কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করা।
উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ৩০০ জন নারী ও যুব কৃষক-কৃষাণী এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।