বাসস
  ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:১৪

মোল্লাহাটে কৃষকদের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ

মঙ্গলবার জেলার মোল্লাহাটে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে রবি মৌসুমে বিনামূল্যে সবজির বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ছবি : বাসস

বাগেরহাট, ২১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জেলার মোল্লাহাটে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে রবি মৌসুমে বিনামূল্যে সবজির বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা খাতের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামানন্দ কুণ্ডু।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মোট ৪৯৫ জন কৃষককে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫০ জন কৃষক বাড়ির আঙিনায় আগাম শীতকালীন শাক-সবজি চাষের জন্য উফশী জাতের ৭ প্রকার সবজির বীজ (মোট ৫০০ গ্রাম) পাবেন। এছাড়া মাঠে চাষযোগ্য হাইব্রিড জাতের লাউ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া ও শশা চাষের জন্য ৩৪৫ জন কৃষককে বীজ, ডিএপি ও এমওপি সার সরবরাহ করা হবে।

কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, লাউ চাষের জন্য ৪০ জন কৃষককে ২০০ গ্রাম বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি; বেগুন চাষের জন্য ১০০ জন কৃষককে ৮০ গ্রাম বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি; মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য ১০০ জন কৃষককে ৩০ গ্রাম বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি এবং শশা চাষের জন্য ১০০ জন কৃষককে ৪০ গ্রাম বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি করে দেওয়া হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়র রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজীব রায়, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. হেদায়েত উল্যাহ, মোল্লাহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা, আব্দুল্লাহ ফারুক ও সাংবাদিক কে এম মাহামুদুল হক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামানন্দ কুণ্ডু ও কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়র রহমান বলেন, রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তা করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা আগাম সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন, উৎপাদন বাড়বে এবং বাজারে আগাম সবজি সরবরাহ নিশ্চিত হবে।

তারা আরও জানান, সরকারের এই উদ্যোগের ফলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।