বাসস
  ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:৪০
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:৫৫

জাতীয়ভাবে লালন উৎসব পালন অব্যাহত থাকবে: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ফাইল ছবি

কুষ্টিয়া, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫(বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ‘এখন থেকে লালন উৎসব জাতীয়ভাবেই পালিত হবে উল্লেখ করে বলেছেন, লালন আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতির ধারক-বাহক। লালনকে দেখলে বাংলাদেশকে দেখা যায়। তাই লালন আমাদের চেতনায়, আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।

আজ শুক্রবার ফকির লালন শাহের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও লালন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। তিনি বলেন, লালন সাঁই আমাদের দেশের অন্যতম বড় দার্শনিক ও ভাবুক। তাঁর জীবনদর্শন ও আদর্শ আমাদের আত্মস্থ করা প্রয়োজন। এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে লালন তিরোধান দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান হচ্ছে, যা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। 

তিনি আরো বলেন, এ উপলক্ষে আগামী ১৮ অক্টোবর ঢাকায় লালন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তিন দিনব্যাপী চলমান এই অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তিনি আয়োজক, অংশগ্রহণকারী শিল্পী এবং সাধু-ভক্তদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এসময় তিনি আন্তজার্তিক খ্যাতিমান লেখক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন। 

জেলা প্রশসাক ও লালন একাডেরি সভাপতি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন আন্তজার্তিক খ্যাতিমান লেখক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট চিন্তক ও গবেষক ফরহাদ মজহার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আল মামুন।

আলোচনা সভা শেষে উদ্বোধনী  দিনে প্রয়াত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের স্মরণে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং গভীর রাত অবধি চলছে লালনসংগীতের আসর।

শনিবার সকালে বাল্যসেবা ও দুপুরে পূর্ণ সভার মধ্যদিয়ে এ সাধুসঙ্গ শেষ হবে। মায়ার টানে, আত্মার টানে সাধু-ভক্তরা ছুটে আসছেন ধামে। 

১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক লালন সাঁই কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। এর পর থেকে আখড়াবাড়ি চত্বরে তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা তাঁদের সাঁইজিকে স্মরণ করে আসছেন।

লালন একাডেমি প্রতিবছর ছেঁউড়িয়ায় একাডেমি চত্বরে লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করলেও এবারই প্রথম এই আয়োজন হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে।