বাসস
  ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:১৩

চাঁদপুর পৌরসভায় পথকুকুরকে জলাতঙ্ক টিকা প্রদান কর্মসূচি

চাঁদপুর পৌরসভা এবং জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বেওয়ারিশ পথকুকুরকে জলাতঙ্ক টিকা প্রদান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ছবি : বাসস

চাঁদপুর, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও জলাতঙ্ক প্রতিরোধে চাঁদপুর পৌরসভা এবং জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বেওয়ারিশ পথকুকুরকে জলাতঙ্ক টিকা প্রদান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক আজ সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ১০ অক্টোবর সকাল থেকে এই টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে আজ বিকেল পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। তবে এ সময়ের মধ্যে পৌরসভার সব পথকুকুরকে টিকা দেওয়া সম্পন্ন না হলে টিকাদান কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ানো হবে। 

তিনি জানান, প্রতিদিন দুই সেশনে এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রথম সেশন সকাল ৬টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় সেশনে রাত ৯টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়। তবে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে শহরের সব কুকুরকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

ডা. ভৌমিক বলেন, কুকুরগুলো যেন জলাতঙ্কে আক্রান্ত না হয় এবং মানুষ ও প্রাণী উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এ লক্ষ্যেই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। 

চলমান এই কার্যক্রমে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা-কালীবাড়ি মোড়, নতুন বাজার, ইচলী ঘাট, ঢালির ঘাট, পালের বাজার, মেডিকেল কলেজ, হাজী মহসীন রোড, ছায়াবানী, কয়লা ঘাট, বড় স্টেশন, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, চৌধুরী ঘাট, চিত্রলেখা মোড়, বিপনীবাগ, ইলিশ চত্বর, স্বর্ণখোলা, মাদ্রাসা রোড, বাসস্ট্যান্ড, চেয়ারম্যান ঘাট, জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলাকা, দর্জিঘাট, ষোলঘর ও পুরান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক কুকুরকে ইতোমধ্যে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। টিকা প্রয়োগ করা কুকুরগুলোকে একই সাথে রং করে দেয়া হচ্ছে।

ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, জনগণের উচিত কুকুরকে শত্রু মনে না করে প্রতি বছর জলাতঙ্ক টিকা দেওয়া। কুকুর কারো শত্রু নয়, বরং বন্ধু। ভালোবাসা ও যত্ন পেলে কুকুর কখনোই মানুষের ক্ষতি করে না।  

তিনি আরও বলেন, এ কার্যক্রমে জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসক অত্যন্ত আন্তরিক। কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা থেকে ৭ সদস্যবিশিষ্ট অভিজ্ঞ ‘ডগ ক্যাচার’ দল আনা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের একজন মনিটরিং অফিসারসহ অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। 

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, প্রতিমাসের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় শহরে পথকুকুরের উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ আলোচনার প্রেক্ষিতেই জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে চলতি মাসে পথকুকুরদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাণিসম্পদ দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ কার্যক্রমে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।   

তিনি বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা শহরকে জলাতঙ্কমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে চাই। জনসচেতনতা বাড়লে ভবিষ্যতে