বাসস
  ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১৮

টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে লালমনিরহাটে সংবাদ সম্মেলন

আজ টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে লালমনিরহাটে সংবাদ সম্মেলন। ছবি : বাসস

লালমনিরহাট, ১১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : আগামীকাল রোববার থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫। 

এ উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেল ৪ টায় লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সভায় টাইফয়েড প্রতিরোধে সরকারের চলমান কর্মসূচি, টিকাদানের গুরুত্ব, ক্যাম্পেইনের সময়সূচি ও লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম রকিব হায়দার, জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম, পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম ও জেলা তথ্য কর্মকর্তা সৌমিক রায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ইফতেখার হোসেন।

সভায় প্রধান আলোচক জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম জানান, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১ হাজার ১৪৫টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে একযোগে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সময় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।

বক্তারা উল্লেখ করেন, টাইফয়েড জ্বর একটি সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, উন্নত দেশগুলোতে টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেলেও বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এটি এখনও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে রয়ে গেছে।

বক্তারা বলেন, টাইফয়েড একটি সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য রোগ। সরকারের এই উদ্যোগ দেশের শিশু ও কিশোরদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

টিকাদান কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ যৌথভাবে কাজ করছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টাইফয়েড প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সংবাদ সম্মেলনে যোগাযোগ অধিদপ্তরের (প্রচার ও সমন্বয়) পরিচালক মিজ ডালিয়া ইয়াসমিন ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।