শিরোনাম
টাঙ্গাইল, ৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জেলার সদর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের সংযোগ সড়ক ধসে গিয়ে পাঁচ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে উপজেলায় চারাবাড়ি এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ব্রিজের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ধসে পড়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে ঘঠনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এ সময় তিনি ধসে পড়া সংযোগ সড়ক দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ধলেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোত তৈরি হয়। এতে সেতুর পশ্চিম পাড়ের মাটি ধসে গিয়ে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদ নগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য টাঙ্গাইল- তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়িঘাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিগত ২০০৬ সালে ১৭০.৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণ করে। নির্মাণের পর থেকেই কয়েকবার পূর্ব ও পশ্চিম তীরের অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে যায়। সর্বশেষ গত বছরের ১০ জুলাইও ব্রিজের পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচ ভেঙ্গে পড়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজ দিয়ে চরাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। এদিকে চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য, তাঁত শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, অটোভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে থাকে এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ব্রিজ ভেঙে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে বলে জানান তারা।
সদর উপজেলার এলজিইডি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, সদর উপজেলা পরিষদ যৌথ উদ্যোগে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মিয়া জানান, টানা বৃষ্টিতে ধলেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোত তৈরি হয়। এতে গতরাতে সেতুর পশ্চিম পাড়ের মাটি ধসে গিয়ে সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়ে। ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে নিয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধসে যাওয়া অংশে পানির গভীরতা বেশি থাকায় দ্রুত কাজ করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আপাতত নৌকার মাধ্যমে জনসাধারণের পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে। আজ থেকে ডাম্পিং কাজ শুরু হবে। আশা করছি ২/৩ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।