বাসস
  ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:১৫

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে ভর্তি ৩ শতাধিক

ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে ভর্তি ৩ শতাধিক। ছবি : বাসস

জয়পুরহাট, ৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ৩শ জন। এসব রোগীর মধ্যে বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। ভর্তি হওয়া রোগীদের বেশিরভাগই  জয়পুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের। 

এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা গেছে, জয়পুরহাট ২৫০ সদস্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত  হয়ে গত সাত দিনেই ভর্তি হয়েছে ৩শ ২০ জন রোগী। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক ও  নার্সদের। তবে এখন রোগীর চাপ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। চিকিৎসা পেয়ে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। জয়পুরহাট হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় পুরো ওয়ার্ড জুড়ে ভর্তি আছেন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা। হাসপাতালের বেডে জায়গা না হওয়ায় ওয়ার্ডের বাইরের করিডোরের মেঝেতেও ভর্তি হওয়া রোগীদের স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। পুরো হাসপাতাল জুড়ে শুধু ডায়রিয়ার রোগী।

এ ব্যাপারে একধিক ডায়রিয়া রোগীর সঙ্গে কথা বললে তারা বাসসকে জানান, জয়পুরহাট পৌরসভার ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেশী। বাইরের রোগীও আছে তবে পরিমাণে অনেক কম। তাদের ধারণা পৌরসভা থেকে সরবরাহ করা পানি পান করে তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া এখন মৌসুম পরিবর্তন হওয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের সহকারী চিকিৎসক মো. হারিছ বাসসকে জানান, গত কয়েকদিন থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ রোগী ভর্তি হয়েছে জয়পুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন মহল্লা থেকে। পৌরসভার পানির কারণে ডায়রিয়া রোগ হতে পারে। পানি পরীক্ষা করলেই বিষয়টি জানা যাবে।’

এ ব্যাপারে জয়পুরহাট পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মামুনুর রশীদ বাসসকে জানান, পৌরসভার পানির কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে এমন অভিযোগের পর আক্রান্ত এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে বগুড়ায় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় পানির কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি। তাছাড়া পানির কারণে ডায়রিয়া হলে গোটা পৌরসভার বাসিন্দারা আক্রান্ত হতেন। কাজেই অভিযোগটি সঠিক নয়।

জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক  ডা. সরদার রাশেদ মোবারক বাসসকে জানান, গত কয়েকদিন থেকেই হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেশি। তবে বর্তমানে কিছুটা কমছে। পূজা উৎসব  ঘিরে জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত মেলায় উন্মুক্ত খাবারের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আমরা হাসপাতালে আসা সকল রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি।