শিরোনাম
নওগাঁ, ৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলামের উদ্যোগে জেলার সমতলের আদিবাসী ২০ জন নারী কৃষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননা হিসাবে তাদের প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে রঙ্গিন মাটির হাড়ি ভরা ধানের বীজ ও একটি ফলের চারা। ফসলের লক্ষ্মী নারী কৃষকদের দেয়া এ ব্যতিক্রমী (সম্মাননা) উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার লক্ষীডাঙ্গা মাঠে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে নিয়ামতপুর উপজেলার ২০জন আদিবাসী নারী কৃষককে ফসলের লক্ষ্মী হিসেবে মর্যাদা দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই অভিনব উদ্যোগে মাঠ জুড়ে ছিল আনন্দ, বিস্ময় আর আবেগের এক অনন্য মিশ্রন। আদিবাসী নারী কৃষকদের হাতে ফসলের এই উপহারের আয়োজন উপস্থিত সকলের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এটি বাংলাদেশের নারী কৃষকদের মাঝে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বিএনপির সহ-সভাপতির মতে, নারী কৃষকদের হাতেই ফসলের আশীর্বাদ। তাঁদের কষ্টের মাঝেই আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা রুপরেখার অন্যতম দিক হলো কৃষকের কল্যাণ। তাদের সম্মান প্রদর্শনের এই উদ্যোগ সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। ফসলের লক্ষ্মীদের সম্মান জানানো এক অসাধারণ মানবিক উদ্যোগ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সম্মাননাপ্রাপ্ত আদিবাসী নারী কৃষক সুবর্ণা মুরমু বলেন, জীবনে প্রথমবার কেউ আমাদের নাম ধরে ডাকলো আর মঞ্চে তুললো। এই সম্মান আমি কখনো ভুলব না।
সম্মাননাপ্রাপ্ত নারী কৃষক সবিত্র মার্ডি ও মালি মুরমু বলেন, তাদের জীবনের দীর্ঘ সময় কৃষিক্ষেত্রে কাটিয়ে দিয়েছেন। মাঠের খেতে ধান চারা লাগিয়েছেন। আগাছা পরিষ্কার করেছেন। ধান কেটেছেন। মাথায় করে ফসল বাড়ি নিয়ে গেছেন। কোনদিন কেউ এ কাজের মূল্যায়ন করেনি। জীবনের এই সময়ে এসে বিএনপি নেতার এই সন্মান পেয়ে আমরা খুব খুশি। গর্বে আমাদের বুক ভরে গেছে। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, নারী কৃষকদের সম্মান জানাতে আমরা একত্রিত হয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই কৃষকরাই আমাদের প্রকৃত সম্পদ। আজকের এই সম্মাননা সেই ভাবনারই অংশ যেখানে নারী কৃষকদের ফসলের লক্ষ্মী হিসেবে দেখা হচ্ছে। কৃষককে সম্মান করা মানে দেশকে সম্মান করা। তাই নারী কৃষকদের হাতে আমরা ফসলের রঙ্গিন মাটির হাঁড়িতে ধানের বীজসহ একটি ফলের চারা তুলে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অন্যতম লক্ষ্য হলো কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। সেই চিন্তা থেকেই আজকের এই আয়োজন। এই আদিবাসী নারীরা আমাদের কৃষি অর্থনীতির নীরব নায়ক, তাদের সম্মান জানানো মানে কৃষির শ্রমকে সম্মান জানানো।