শিরোনাম
কুমিল্লা, ১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমী পূজা পালিত হচ্ছে আজ। বাজছে বিসর্জনের ঘণ্টা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে দেবী ফিরে যাবেন কৈলাশে (স্বামীর বাড়ি)।
আজ কুমিল্লার প্রতিটি মন্দিরে উৎসবের আমেজে পালিত হচ্ছে মহানবমী।
পুরোহিতরা জানান, নবমী তিথি শুরু হয় অষ্টমীর শেষ মুহূর্তের সন্ধিপূজা দিয়ে। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় এ বিশেষ পূজা। এ সময় দেবী চামুণ্ডার আরাধনা করা হয়।
চকবাজার সাহাপাড়া মন্দিরের জদু লাল সাহার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নবমীর সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা। মহিষাসুর নিধনের সময় দেবী দুর্গা প্রচণ্ড ক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ রূপ ধারণ করেছিলেন। তাই পূজার এই আচারের সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পূজা করা হয়, অর্থাৎ যিনি চণ্ড ও মুণ্ডের বিনাশিনী।
পূজার এই মুহূর্তটি আরও একটি কারণে স্মরণীয়। দেবী দুর্গার আশির্বাদ নিয়ে অযোধ্যার রাজা দশরথের পুত্র শ্রীরাম চন্দ্র এই মুহূর্তেই লঙ্কার রাজা রাক্ষস রাবণকে বধ করেছিলেন।
মহেশাজ্ঞন মন্দিরের হারাধন চক্রবর্তী জানান, মহানবমীতে ষোড়শ উপচারের পাশাপাশি ১০৮টি নীলপদ্মে দেবীদুর্গার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে তর্পণের মাধ্যমে দেবীর মহাস্নান ও পূজা শেষে ভক্তরা অঞ্জলি নিবেদন করেন। সন্ধ্যায় মহাআরতি, বলিদান, নবমী হোম এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
তিনি জানান, সন্ধ্যায় প্রত্যেক মন্দিরে সন্ধ্যা উলুর ধ্বনি, শঙ্খ ধ্বনি, ঢাকের তালে তালে আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
মহানবরাত্রিতে দেবীদুর্গার আরাধনার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। তবে ভক্তদের কাছে এ দিনটি আনন্দ ও বেদনার মিলনক্ষণের প্রতীক। কারণ, সারা বছর যে উৎসবের অপেক্ষা থাকে, তার বিদায়বার্তা শুরু হয় এই মহানবমী নিশিতেই।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীদুর্গাকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব।