বাসস
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৩৮

বগুড়ায় ১০৪ মণ্ডপ অতি ঝুঁকিপূর্ণ, থাকবে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ছবি : বাসস

আবুল কালাম আজাদ

বগুড়া, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে বগুড়ায় ৬৮৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০৪টি মণ্ডপকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (অতি গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। 

নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, সেনাবাহিনীসহ একাধিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে মণ্ডপগুলোতে।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছর বগুড়ার ১২ উপজেলায় ৬৭৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার বেড়ে হয়েছে ৬৮৬টি। নিরাপত্তার দিক থেকে মণ্ডপগুলোকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে- অতি গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ। এর মধ্যে ১০৪টি অতি গুরুত্বপূর্ণ, ৩২৯টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ২৬৩টি সাধারণ।

উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সদর উপজেলায় ১১৭টি মণ্ডপের মধ্যে ২৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৭১টি ঝুঁকিপূর্ণ। শাজাহানপুরে ৪৬টির মধ্যে ২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ। শিবগঞ্জে ৬২টির মধ্যে ৮টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ। গাবতলীতে ৭৩টির মধ্যে ৯টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ। সোনাতলায় ৪৯টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়েছে। 

এছাড়া আদমদীঘিতে ৬৫টির মধ্যে ১৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ। দুপচাঁচিয়ায় কয়েকটি অতি ঝুঁকিপূর্ণসহ ১৬টি ঝুঁকিপূর্ণ। কাহালুতে ৩৩টির মধ্যে ৩টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ। নন্দীগ্রামে ৪৭টির মধ্যে ১০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ। শেরপুরে ৯১টির মধ্যে ৯টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ২২টি ঝুঁকিপূর্ণ। ধুনটে ৩৫টির মধ্যে ১৪টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ। সারিয়াকান্দিতে ২৩টির মধ্যে ২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৭টি ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ রয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী টহল দেবে। থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি ও সিসিটিভি ক্যামেরা। শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে বলে জানা গেছে।

বগুড়া পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, পৌর এলাকায় এ বছর ৭২টা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শারদীয় দুর্গা উৎসব উদযাপনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মন্দিরগুলোতে এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ।

বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, জেলায় এ বছর ৬৮৬টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ন্যায় এবারও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সহযোগিতায় নির্বিঘ্নে উৎসব পালিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। প্রতিটি মন্দিরে কমিটির পক্ষ থেকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান বলেন, জেলায় পূজামণ্ডপগুলোতে থাকবে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কেউ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তার জন্য মণ্ডপে মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে।