বাসস
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৪২

টেকসই উন্নয়নে খাদ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কিত কাজের ওপর নির্ভরশীল থাকায় টেকসই উন্নয়নের জন্য খাদ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ভারতের নয়াদিল্লিতে ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বের জন্য খাদ্য নীতি: দক্ষিণ এশিয়ার জন্য পাঠ ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের আঞ্চলিক নীতি সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই), ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ (আইসিএআর)-এর সঙ্গে যৌথভাবে সংলাপটি আয়োজন করে।

জলবায়ু পরিবর্তন, অপুষ্টি ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির মতো ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া কীভাবে স্থিতিস্থাপক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারে, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করার জন্য সংলাপটিতে সিনিয়র নীতিনির্ধারক, গবেষক ও উন্নয়ন অংশীদারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস. মহেন্দ্র দেব। তিনি অংশগ্রহণকারীদের মনে করিয়ে দেন, খাদ্য ব্যবস্থার এজেন্ডাগুলো প্রচলিত অগ্রাধিকারকে উপেক্ষা করতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা খাদ্য ব্যবস্থা, পরিবেশ ও পুষ্টির মতো নতুন চ্যালেঞ্জগুলোর ব্যাপারে মনোযোগ দিচ্ছি। তবে, আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, কৃষিক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি এবং গ্রামীণ বিনিয়োগের মতো পূর্ববর্তী অগ্রাধিকার এখনো গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একসাথে কাজ করতে হবে; যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে, স্বাস্থ্যকর ও বৈচিত্র্যময় খাদ্য সরবরাহে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা যায়।

নীতি আয়োগের সদস্য ড. বিনোদ কে. পাল বলেন, আমরা যদি সত্যিকারার্থে বংশ পরম্পরায় অপুষ্টির চক্র ভাঙতে চাই, তাহলে গর্ভাবস্থার আগেই পদক্ষেপ নিতে হবে। নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের আগেই স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ঘাটতি মেটানো গেলে খর্বকায় সন্তানের জন্ম হ্রাস পায়।

আইএফপিআরআই-এর দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক শহীদুর রশিদ বলেন, এ বছরের বিশ্ব খাদ্য নীতি প্রতিবেদনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল আইএফপিআরআই-এর ৫০ বছরের যাত্রাকেই চিহ্নিত করে না, বরং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোও প্রতিফলিত করে; যা আগামী দশকগুলোতে খাদ্য ও কৃষির ওপর প্রভাব ফেলবে।

তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য প্রতিবেদনটি তিনটি কঠিন চ্যালেঞ্জের কথা বলেছে, যেসব বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দেওয়া দরকার। সেগুলো হলো, জলবায়ু পরিবর্তন, ক্রমাগত অপুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর ও বৈচিত্র্যময় খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা।