শিরোনাম
এসকে রাসেল
কিশোরগঞ্জ, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডিপাশা গ্রামের তরুণ কৃষক আবু বাক্কার সিদ্দিক(৪২) অসময়ে ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ করে রীতিমতো চমক দেখিয়েছেন। মাত্র ৭০ দিনে ৪০ শতাংশ জমি থেকে তিনি এক লাখ টাকার বেশি আয় করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তার জমিতে মাচার নিচে ঝুলছে কালো রঙের ভিন্ন আকারের তরমুজ। ভেতরে টকটকে লাল আর স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা সরাসরি জমি থেকে কিনতে ভিড় করছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এই জাতের তরমুজ চাষে খরচ কম, অথচ লাভ অনেক বেশি। প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ করে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এ কারণে উপজেলায় চাষ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে ১৫ বিঘা জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে, যার বেশিরভাগই চণ্ডিপাশা এলাকায়। কৃষিকে বাণিজ্যিক করার অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের নিয়মিত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
আবু বাক্কার বলেন, কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের পরামর্শে তিনি এই জাতের তরমুজ চাষ করেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যেই এক লাখ টাকার বিক্রি হয়েছে, মৌসুম শেষে বিক্রি হবে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মতো। এতে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হবে বলে আশা করছেন।
তিনি আরও বলেন, আগে ধান বা সবজি চাষ করতেন কিন্তু লাভ কম হতো। তরমুজ চাষে ভালো আয় হওয়ায় আশপাশের যুবকরাও এখন তার মতো ব্ল্যাক কুইন চাষ শুরু করেছেন।
স্থানীয় কৃষক হযরত আলী জানান, আবু বাক্কারের সাফল্য দেখে তিনিও আগামী মৌসুমে তরমুজ আবাদ করবেন।
চণ্ডিপাশা ব্লকের উপসহকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মাঠে থেকেই কৃষকদের শেখাচ্ছি কীভাবে কম খরচে ভালো ফলন পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই-আলমও নিয়মিত মাঠে গিয়ে কৃষকদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।’
পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার উপজেলায় ১৫ বিঘা জমিতে ব্ল্যাক কুইন আবাদ হয়েছে। কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। ব্ল্যাক কুইন জাতটি তাইওয়ান থেকে আনা, প্রতিটি ফলের গড় ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি। শীত বাদে সারা বছরই এই জাতের তরমুজ চাষ করা যায়। আগামীতে আরও বেশি জমিতে আবাদ বাড়বে।’
অসময়ে তরমুজ চাষে সফল হয়ে আবু বাক্কার এখন বৃহৎ পরিসরে ব্ল্যাক কুইন তরমুজ আবাদে কৃষি বিভাগের সহায়তা চান।