শিরোনাম
দিনাজপুর, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের নির্মাণ কাজে অনিমের অনুসন্ধানে দুদকের অভিযান টীম সেম্পল সংগ্রহ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় দিনাজপুর জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খায়রুল বাসার এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সদর দপ্তরের নির্দেশ মতে আজ দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত দিনাজপুর সড়ক জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নির্মাণ কাজের গুনগত মান নির্ধারণের জন্য সেম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে।
সংগ্রহকৃত সেম্পল আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেই নির্মাণ কাজের অনিময় ও দুর্নীতির প্রকৃত তথ্য জানা যাবে বলে সূত্রটি দাবি করে। সেম্পল সংগ্রহ ও অনুসন্ধান কাজের সময় দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আতাউর রহমান অভিযান টিমের সাথে উপস্থিত ছিলেন।
উপ-পরিচালক বলেন, এই সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ‘খবরের কাগজের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি দুদকের দৃষ্টিগোচর হলে আমরা অনিয়মের বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করেছি। অনুসন্ধানে সরেজমিনে এসে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ৮৮২ কোটি টাকার এই সড়ক সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে কাজ শেষ হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ’বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি প্রতিবেদন দুদক সদর দপ্তরে প্রেরণ করেছিলাম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পর আমরা তদন্তের শুরুতেই সড়ক নির্মাণে গুণগত মান নিরীক্ষার জন্য আজ সেম্পল সংগ্রহ করেছি।
সড়ক-জনপদ বিভাগের দিনাজপুর ও ফুলবাড়ী উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘দুদকের কর্মকর্তারা আমাদের কাছে নির্ধারিত কাগজপত্র চেয়েছিল। আমরা তা সরবরাহ করেছি। এখন তাঁরা বিষয়টি দেখছেন।’ সড়কের কাজে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত সাড়ে ৩ বছর আগে কাজটি হয়েছে। সেই সময়ের কর্মকর্তারা বিস্তারিত বলতে পারবেন। আমি এখানে নতুন এসেছি।
দুদকের সূত্রটি জানায়,তাদের অনুসন্ধানে প্রকাশ পেয়েছে, দিনাজপুর- গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক এই মহা-সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গবিন্দগঞ্জ থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বরাদ্দ দেওয়া হয় ৮৮২ কোটি টাকা। গত ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ৮'টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। ৯'টি গুচ্ছের মাধ্যমে চলা সড়ক প্রশস্ত করণের কাজ শেষ হয় গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার দুই বছর পর থেকে সড়কের অনেক অংশ দেবে যেতে থাকে। দৃশ্যমান হয় ঢেউ খেলানো সড়কের বাস্তব চিত্র। দিন দিন সড়কের যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হতে থাকে। সড়কের কাজের তদারকির দায়িত্ব ছিল সড়ক ও জনপথ বিভাগের। দুদকের অনুসন্ধানে এই সড়কের নির্মাণের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় গুলো বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে বলে দাবি করা হয়।