বাসস
  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৩

দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় প্রস্তুতিমূলক সভা

রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : বাসস

সাতক্ষীরা, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণু পদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রিপন বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান, সদর সেনা ক্যাম্পের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর ইশতিয়াক আহমেদ, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের উপ-অধিনায়ক ক্যাপ্টেন শাদমান, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহারুল ইসলাম।

আরও ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মেহেদী হাসান, জেলা হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ বাইন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এডভোকেট সোমনাথ ব্যানার্জী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অসীম কুমার দাস সোনা, কাটিয়া মন্দির সমিতির সভাপতি গৌর দত্ত, শ্যামনগর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এড. কৃষ্ণ পদ বিশ্বাস প্রমুখ। 

এছাড়া বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জেলার সাত উপজেলায় মোট ৫৮৭টি মণ্ডপে এবার অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এর মধ্যে সাতক্ষীরা পৌরসভায় ১৮টিসহ সদর উপজেলায় মোট ১০৬টি, তালায় ১৯৫টি, কলারোয়ায় ৪৪টি, শ্যামনগরে ৬৯টি, আশাশুনিতে ১০৩টি, কালিগঞ্জে ৪৯টি ও দেবহাটা উপজেলায় ২১টি। 

আরও জানানো হয়, জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের সংখ্যা ৫৫টি। এর মধ্যে শ্যামনগরে ২০টি, কালিগঞ্জে ২টি, দেবহাটায় ৪টি, আশাশুনিতে ২৩টি ও কলারোয়ায় ৬টি। 

দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রতিটি মণ্ডপকে বাধ্যতামূলক সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলে জানানো হয় সভায়।