শিরোনাম
রাজশাহী, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এডুকেশন ক্লাবের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন-২০২৫ আজ শনিবার শুরু হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজন আগামীকাল রোববার শেষ হবে।
‘সামাজিক রূপান্তরের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ও উদ্ভাবনের প্রসার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনটির আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এডুকেশন ক্লাব। এই আয়োজনে নিজেদের কাজগুলো উপস্থাপনের পাশাপাশি যুগান্তকারী গবেষণার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের ব্যাপারে ধারণা শেয়ার করা হবে।
আয়োজকদের মতে, এর মাধ্যমে গবেষণাকে শুধু একাডেমিক গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ না রেখে সামাজিক অগ্রগতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হবে।
অনুষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী শিক্ষক ও গবেষকদের অত্যাধুনিক গবেষণা উপস্থাপন, আলোচনা, আন্তঃবিষয়ক সহযোগিতা, ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের জন্য কার্যকর জ্ঞানকাণ্ড তৈরি, বিভিন্ন শাখায় উদ্ভাবন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সামাজিক রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাবি উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। এডুকেশন ক্লাবের সভাপতি রায়হানা মালিক সেজুতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন এবং অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান।
বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ভিসি সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন বিভিন্ন শাখায় জ্ঞানের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার চালিকাশক্তি এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একটি ‘প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে কাজ করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই সম্মেলন গবেষণার প্রচারে অনেক অবদান রাখবে। এছাড়া বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল এবং ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনেও অবদান রাখবে।’
এছাড়াও, এ সম্মেলন অংশগ্রহণকারীদের মৌলিক গবেষণা উপস্থাপন, একাডেমিক সংলাপে অংশগ্রহণ এবং নীতি ও সামাজিক পরিবর্তনের জন্য ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ প্রদানে সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক কায়কোবাদ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন শাখার মধ্যে আন্তঃবিষয়ক আলোচনা ও চিন্তার সমন্বয়কে উৎসাহিত করা—যার মধ্যে রয়েছে সমাজবিজ্ঞান, শিল্পকলা, প্রযুক্তি এবং জীবন বিজ্ঞান—যাতে বৃহত্তর প্রভাব সৃষ্টি করা যায়।
শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং নীতিনির্ধারকসহ প্রায় ১,২০০ জন এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।