শিরোনাম
ঢাকা, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বহির্বিশ্বে আর্থিক লেনদেন সহজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ, ওভারড্রাফট ও গ্যারান্টি সংক্রান্ত নীতিগুলোকে একটি কাঠামোয় এনে নতুন সার্কুলার জারি করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের নীতিমালা সংক্রান্ত এ সার্কুলার আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ঋণ, ওভারড্রাফট ও গ্যারান্টি সংক্রান্ত লেনদেন সহজ করার জন্য বিদ্যমান নিয়ম-কানুন প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ একত্রিত করা হয়েছে। নতুন এ নির্দেশনা জারির তারিখ থেকে এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।
সার্কুলারটি তিন ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে ঋণ, ওভারড্রাফট ও গ্যারান্টি সংক্রান্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক ঋণ, ওভারসিজ গ্যারান্টি বা জামানতের বিপরীতে ব্যক্তিগত ঋণ এবং রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট উভয়পক্ষের জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যারান্টি। এতে রিপেমেন্ট গ্যারান্টি এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক ঋণ প্রদানের বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সার্কুলার অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে গ্যারান্টি, স্ট্যান্ডবাই লেটার অব ক্রেডিট (এসবিএলসি) এবং অন্যান্য অর্থপ্রদানের প্রতিশ্রুতি ইস্যু করার সময় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সর্বশেষ মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিফর্ম রুলস ফর ডিমান্ড গ্যারান্টিজ (ইউআরডিজি), ইউনিফর্ম কাস্টমস অ্যান্ড প্র্যাকটিস ফর ডকুমেন্টারি ক্রেডিটস (ইউসিপি), ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডবাই প্র্যাকটিসেস (আইএসপি) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক মানদণ্ড। পাশাপাশি প্রযোজ্য দেশীয় আইন ও বিধিমালার প্রতি যথাযথ আনুগত্য নিশ্চিত করতে হবে।
দ্বিতীয় ভাগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে সংকলন করা হয়েছে। এতে টাইপ এ, বি ও সি এন্টারপ্রাইজের জন্য বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণের নিয়ম, টাইপ বি এন্টারপ্রাইজের জন্য টাকায় ঋণ, ইউস্যান্স বিল ডিসকাউন্টিং, বি ও সি এন্টারপ্রাইজের কার্যক্রমের মূলধন সহায়তা এবং মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক ঋণের বিধান রয়েছে।
তৃতীয় ভাগে রেসিডেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংকলন করা হয়। এতে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ, পরিশোধের গ্যারান্টি এবং বিদেশি মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত কোম্পানির কার্যক্রমের মূলধন ঋণ সম্পর্কিত নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।