বাসস
  ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৩২
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১৯:১৩

ডিসেম্বরে শেষ হবে পারকি পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ : পর্যটন উপদেষ্টা 

বুধবার চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকিতে পর্যটন প্রকল্প পরিদর্শন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রামের আনোয়ারা পারকি সৈকতে নির্মাণাধীন পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারার ‘পারকিতে পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তন (২য় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পানি সমস্যাসহ নানা কারণে প্রকল্পের কাজে ধীর গতি দেখা দিয়েছে। তবে প্রকল্পের সাথে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প পরিচালক নিশ্চিত করেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সব ধরনের অবকাঠামোগত কাজ শেষ হবে।

তিনি বলেন, আমরা কাজের মান দেখেছি। কিছু জায়গায় সমস্যা থাকলেও সেগুলো সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি বাংলো প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখানে যদি আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি নিয়মিত থাকেন, তাহলে কাজের গতি আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, পারকি সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখেছি। ঝাউ গাছগুলো উপড়ে যাচ্ছে। এগুলো আমরা নোট করেছি এবং এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম নাসরীন জাহান বলেন, পারকি সমুদ্র সৈকতের পর্যটন কমপ্লেক্স একটি সম্ভাবনাময় প্রকল্প। স্থানীয়দের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রয়োজন।

পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, প্রকল্প পরিচালক মাজেদুর রহমান, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পারকি সমুদ্র সৈকত আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ১৩.৩৬ একর জমিতে ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে এই পর্যটন কমপ্লেক্স নির্মাণ শুরু হয়। প্রকল্পের প্রথম মেয়াদ দুই বছর ধার্য করা হলেও ২০২০ সালের নভেম্বরেই মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ২০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করায় দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের সময়সীমা ও বরাদ্দ ৭১ কোটি ২৫লক্ষ টাকা করা হয়। এরপরও ধীরগতির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ পুনরায় মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে।