বাসস
  ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৩০
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১৬:০৪

নির্বাচন বানচালের জন্য নিত্যনতুন দাবি তোলা হচ্ছে : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্ষীয়ান রাজনীতিক কাজী জাফর আহমেদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল পরিকল্পিতভাবে নিত্যনতুন দাবি তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু রাজনৈতিক দল-মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য নিত্যনতুন দাবি তুলছে। এমন দাবি তুলছে, যার সঙ্গে জনগণ পরিচিত নয়, সংস্কার শব্দটার সঙ্গেই তো আমাদের সাধারণ জনগণ পরিচিত না। সংখানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতি বোঝে না। এটা বুঝতে সময় লাগবে।’

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বর্ষীয়ান রাজনীতিক কাজী জাফর আহমেদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে’ এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি কাজী জাফর আহমদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

‘আপনার এলাকায় একজন জনপ্রিয় মানুষ আছেন জলিল উদ্দিন সাহেব নামে, আপনারা তাকে ভোট দিলেন, কিন্তু তিনি খলিল উদ্দিন হয়ে পার্লামেন্টে আসলো। এই বিষয়গুলো কিন্তু এখনো আমাদের কাছেই পরিষ্কার না, সাধারণ জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়’, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পিআর পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো হুমকি দিচ্ছেন, কথা বলছেন এবং অত্যন্ত জোর করছেন বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

জনগণের মন-মানসিকতা সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কোনো দিন রাজনীতিতে হতাশ হইনি। সবসময় সবাইকে সাহস দিয়েছি। ইদানিং মাঝে মাঝে হতাশার ছায়া লক্ষ করি। বলবেন কেন? যেদিকে তাকাই দেখি, দেশের বেশিরভাগ মানুষই নষ্ট হয়ে গেছে। দুর্নীতি, দুর্নীতি, দুর্নীতি; কোনো অফিস আদালতে যেতে পারবেন না। আগেই বলেছি, আগে ঘুষ দেওয়া লাগতো ১ লাখ এখন ৫ লাখ দিতে হয়।’

চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিএনপির অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়ে গণতন্ত্রে যেতে সংস্কারের মধ্যে নির্বাচনের একটা তারিখও ঘোষণা হয়েছে। আমরা এক সঙ্গে যারা আন্দোলন করেছি, সবাই মিলে সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছি। সংস্কারের সবগুলোই ওখানে আছে। সুতরাং সংস্কারের পক্ষে আমরা প্রথম থেকে। কারণ, আমরা উপলব্ধি করেছিলাম, বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোতে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সংস্কার করার জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতা সংস্কার কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে করছি। কোথাও বাধা সৃষ্টি করিনি। কখনো কোনো বড় রকমের দাবি তুলে রাজপথে নেমে সরকারকে বিব্রত করিনি।’