বাসস
  ২৫ আগস্ট ২০২৫, ২০:২৯

জীবাশ্ম জ্বালানি পৃথিবীতে গ্রীনহাউস গ্যাস ছড়াচ্ছে : আলোচনায় বিশেষজ্ঞ মতামত 

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): ‘ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পৃথিবীতে গ্রীনহাউস গ্যাস ছড়াচ্ছে, যার ফলে পৃথিবীর পরিবেশ দিন দিন খারাপ হচ্ছে।  ফলে আর্থসামাজিক বৈষম্যের মাত্রাও বেড়ে চলেছে।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এশিয়া’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফসিল ফুয়েল নন প্রোলিফারেশন ট্রিট্রি ইনিশিয়েটিভ এর স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার হার্জিত সিং। 

আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের এই ক্রান্তিলগ্নে জ্বালানি শিল্পের একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা জরুরি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায্য জ্বালানি রুপান্তর নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎসের একটি বিকল্প কৌশল শুধু নয়, বরং এটা ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তমূলক এবং টেকসই উন্নয়নও ।

বক্তারা বলেন, জ্বালানি চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত সম্প্রসারণশীল, যা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে জ্বালানি সম্প্রসারণ ও ন্যায্য রূপান্তরের  বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে গেছে।  এই দেশটি এখন জীবাশ্ম জ্বালানির উপর ব্যাপক নির্ভরতায় কয়লা, তেল ও তরলীকৃত গ্যাস ইত্যাদি আমদানির কারণে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা আর জ্বালানি নিরাপত্তাহীনতা উভয় দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিতকরণের ব্যাপক প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও এর পরিমাণ দেশের মোট জ্বালানির সামান্য মাত্র।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই নীতিতে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যদিও অন্যান্য পরিকল্পনা ও নীতিমালার সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যগুলোর অসামঞ্জস্যতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, ফসিল ফুয়েল নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ এর এশিয়া ক্যাম্পেইনার শিবায়ন রাহা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অধিকার ও সুশাসন কর্মসূচি পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, সেন্টার ফর অ্যাটমোসফেরিক পলিউশন স্টাডিজ (সিএপিএস) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ) এর প্রধান বিশ্লেষক শফিকুল আলম, ও ৩৫০ ডট ওআরজি এর দক্ষিণ এশিয়া সমন্বয়কারী আমানুল্লাহ পরাগ। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও পটভূমি ব্যাখ্যা করেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব শরীফ জামিল। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ধরা’র  সহ-আহবায়ক এম এস সিদ্দিকী।