বাসস
  ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৪:১৪

জনসেবার মানসিকতা ছাড়া সরকারি চাকরি অর্থহীন : সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস

ঢাকা, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : জনসেবার মানসিকতা ধারণ করার জন্য সরকারী কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, জনসেবার জন্যই আমাদের নিয়োগ হয়েছে। তাই সবার মধ্যে সর্বদা সেবা দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

তিনি আজ রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

কর্মশালাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ এবং এটুআই’র যৌথ উদ্যোগে ন্যাশনাল ড্যাশবোর্ড বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ হিসেবে আয়োজিত হয়।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমাদের অ্যাডভান্টেজ তৈরি করতে হলে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জানতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবনকে আধুনিকায়ন করে একটি তথ্য হাব গড়ে তুলতে চাই, যেখানে দেশ-বিদেশের যে কোনো ব্যক্তি পার্বত্য অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্যের তথ্য পেতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্গানিক ফল পাহাড়ি আম, আনারস, কলা ও ড্রাগন ফল এখন আগের চেয়ে বেশি উৎপাদিত হচ্ছে এবং এগুলো দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। 

পার্বত্য চট্টগ্রামের কেমিক্যাল মুক্ত ফল ফলাদি আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত করতে চান বলেও জানান উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চিন্তা ও চেতনায় পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীরাও সম-অংশীদার হতে চায়। আমাদের ঐতিহ্য, সম্পদ ও সম্ভাবনা জাতীয় উন্নয়নের অংশ হতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক বলেন, সব কিছুই হাতের মুঠোয় থাকতে হবে। ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে আমরা আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বদা আপডেট থাকতে পারবো।

তিনি সরকারি চাকরির বিধি-বিধান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন এটুআই’র রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট এনালিস্ট মো. আনোয়ারুল আরিফ খান, ডাটা কো-অর্ডিনেশন অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম, রিফাত-ই-জাহান সিদ্দিকী ও অনিক কুমার পাল।