শিরোনাম
ঢাকা, ২১ আগস্ট, ২০২৫(বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীন দেশ, ভূ-খণ্ড ও স্বাধীন সত্ত্বা পেয়েছিলাম। ‘২৪ এর জুলাই-আগস্টের শহীদরা আমাদেরকে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
আজ বিকেলে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও দেশের ভবিষ্যতের প্রতি সচেতন থাকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
‘একাত্তরকে ভুলিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে’ উল্লেখ করে তিনি দেশের সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এই দুইটি বিষয়-স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র-আমাদের মাথায় রাখতে হবে, কারণ আজকের দিনে একাত্তর ভুলিয়ে দেওয়ার প্রচ্ছন্ন প্রচেষ্টা চলছে। এটির বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে উগ্রবাদ মাথা তুলে উঠছে। এটি দেশের আত্মা ও অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। আমাদের একত্রিত হয়ে এই উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। অতীতের বিভাজন ও সংঘাত ভুলে দেশের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।’
তিনি দেশের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘গত ১৫ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা জনগণকে বন্ধু হিসেবে গণ্য করেননি। তারা জনগণের ওপর অত্যাচার চালিয়েছেন, দেশের সম্পদ লুটপাট করেছেন এবং বিদেশে পাঠিয়েছেন। সম্প্রতি ব্যাংকক সফরে শুনেছি যে, অভিজাত এলাকা ও সম্পদ এখানে ভাড়া করা হচ্ছে এবং গাড়ি কেনা হচ্ছে কোটি কোটি টাকায়। দেশের অর্থনীতির অবস্থা করুণ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য অসাম্প্রদায়িক একটি ‘রেইনবো রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করা। জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা নির্দেশনাই আমাদের জাতীয় সনদ। এই ভিত্তিতেই আগামী বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের প্রতিটি ঘটনার যথাযথ বিচার হবে।’
অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা উলু ধ্বনি ও ঢাক-ঢোল বাজিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানালে, তিনি হাত নেড়ে উত্তর দেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপুর সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অপর্ণা রায় দাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য রনেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, নিপুণ রায় চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের তপন চন্দ্র মজুমদার, এসএন তরুণ দে, মিল্টন বৈদ্য, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের জয়দেব জয়, হিন্দু মহাজোটের সুশান্ত চক্রবর্তী, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত দেব, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, ইনকনের প্রভু বিমলা প্রসাদ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল বারী ড্যানি ও জন গোমেজ উপস্থিত ছিলেন।