শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ আগস্ট ২০২৫(বাসস) : দ্বীপ জেলা ভোলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অভ্যন্তরে রাস্তা সংস্কার না করে দেয়াল নির্মাণ করায় বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা তা ভেঙ্গে দিয়েছে। আইনজীবীরা এখন দ্রুত সেই রাস্তাটি সংস্কারে স্থানীয় পৌরসভার সহায়তা কামনা করেছে।
সম্প্রতি জেলা জজের মালিকানাধীন জমিতে দেয়াল নির্মাণ করে স্থানীয় গণপূর্ত অধিদপ্তর। এতে জজকোর্ট থেকে মুন্সেফ কোয়ার্টার পর্যন্ত চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে আইনজীবীরা দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। কিন্তু এখনো সেখানে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জেলা জজ আদালতের সিনিয়র নাজির আব্দুল কাদের জিলানী বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে বলেন, কোর্টের অভ্যন্তরে আড়াইশ থেকে ৩০০ মিটার একটি রাস্তা দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অথচ এই রাস্তাটি দিয়ে আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টরা জজ কোর্ট থেকে মুন্সেফ কোয়ার্টারে চলাচল করে।
তিনি জানান, এ বিষয়ে ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের ভারপ্রাপ্ত জজ মোঃ ফজলে রাব্বি স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে স্থানীয় ভোলা পৌরসভার প্রশাসককে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মূল ভবন সংলগ্ন পেছনের রাস্তাটি সংস্কারের জন্য লিখিত পত্র দেয়া হয়।
জেলা জজের পক্ষ থেকে দেয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মূল ভবনের পেছনের দিক হতে মুনসেফ কোয়ার্টার (বিচারকদের আবাসিক ভবন) পর্যন্ত বিচারকদের ব্যবহারের জন্য ৬০ (ষাট) বছরের অধিক পুরাতন একটি রাস্তা রয়েছে, ইদানীং যা সংস্কারের অভাবে প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মানুষজনের চলাচলে কস্ট হচ্ছে। উক্ত রাস্তা দিয়ে বিচারকগণ ছাড়াও অন্যরা যাতায়াত করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা একান্ত আবশ্যক।
জেলা জজের এই চিঠির জবাবে ভোলা পৌরসভা থেকে পৌর প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, রাস্তাটি বিগত অর্থ বছরে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অপ্রতুলতার কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
কিন্তু পৌরসভা থেকে বরাদ্দ আসার আগেই স্থানীয় গণপূর্ত অধিদপ্তর রাস্তাটির শেষ দিকে নতুন দেয়াল নির্মাণ করায় সেখানে জজ কোর্টের বিচারকসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়।
পরে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা দেয়ালটি ভেঙ্গে দিলেও রাস্তাটি এখনো সংস্কার হয়নি। এ বিষয়ে জেলা জজ কোর্টের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা কর্মচারী ও আইনজীবীরা পৌরসভায় সহায়তা কামনা করেছেন।