শিরোনাম
নাটোর, ১০ আগস্ট ২০২৫ (বাসস) : সেবা আর সখ্যতায় প্রাণবন্ত নাটোর জেলা রোভারের চার দিনব্যাপী এডভেঞ্চার ক্যাম্প আজ শেষ হয়েছে। মিনি কক্সবাজার খ্যাত হালতি বিলের এই এডভেঞ্চার ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন নয়টি জেলার প্রায় একশ’ রোভার।
‘সেবার পথে নির্ভিক পদচারণা, স্কাউটিং আমাদের জীবনের অনুপ্রেরণা’ উপজীব্য বিষয়ে বাংলাদেশ স্কাউটস্, নাটোর জেলা রোভারের আয়োজনে গত বৃহস্পতিবার থেকে চতুর্থ এডভেঞ্চার ক্যাম্প শুরু হয়।
আজ জেলা স্কাউটস্ ভবনে সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। একইসঙ্গে এডভেঞ্চার ক্যাম্পের লোগো ডিজাইনার ইসরাত জাহান, টি-শার্ট ডিজাইনার হোসেন আলী এবং থিম ক্রিয়েটর মোঃ সামসুজ্জামানকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এডভেঞ্চার ক্যাম্পে অংশগ্রহনকারী চাঁদপুরের মতলব ডিগ্রি কলেজের রোভার সোহেল রানা জানান, হালতি বিলের বিস্তীর্ণ জলরাশিতে চারদিনের ক্যাম্প ছিল অসাধারণ। ভাসমান জনপদে আনন্দ করেছি, জনসাধারণকে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে উদ্বুদ্ধও করেছি।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের রোভার হাফিজ বলেন, ভাসমান জনপদে আমরা জলরাশি থেকে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপসারণ করেছি। এ ব্যাপারে এলাকার জনসাধারণকে সচেতন করেছি।
কিশোরগঞ্জের প্যাডিংটন ওপেন স্কাউট গ্রুপের সদস্য জোবায়েদ বলেন, এডভেঞ্চার বলতে যা বোঝায় তার সবই ছিল এই ক্যাম্পে। আমরা পতিসরে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি এবং হালতি বিলের জলমগ্ন শহীদ স্মৃতি সৌধ পরিদর্শন করেছি, মাদক, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করেছি, ফুটবল খেলেছি, গান করেছি, ক্যাম্প ফায়ার করেছি মাঝ রাত পর্যন্ত।
খোলাবাড়ীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সালাহদ্দিন বলেন, এডভেঞ্চার ক্যাম্পের কার্যক্রমে এলাকাবাসী খুবই সন্তুষ্ট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্কাউটিং কার্যক্রম জোরদার করার ক্ষেত্রে আমাদের দায়বদ্ধতা তৈরি করেছে এই ক্যাম্প।
জেলা রোভারের সম্পাদক মোঃ জাকিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিকূল পরিবেশে অবস্থান করে দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা তৈরি করেছেন ক্যাম্পের রোভাররা।
বাংলাদেশ স্কাউটস্ রাজশাহী অঞ্চলের উপকমিশনার মোঃ কাহারুল ইসলাম জয় বলেন, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রাপ্তি ঘটেছে এই এডভেঞ্চার ক্যাম্পে।
জেলা রোভারের কমিশনার ড. মোঃ আল আমিন ইসলাম বলেন, ক্যাম্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে রোভারবৃন্দ স্কাউটস্ আইন মেনে নিজেদের মানসিক দক্ষতা প্রমাণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিখেছে। তারা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিকের ভূমিকায় আরও বেশি সক্রিয় হবেন।