শিরোনাম
ঢাকা, ৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আজকে ষড়যন্ত্র চলছে, একটা চক্রান্ত চলছে দেশে আবার একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করবার। যাতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ট্রানজিশন সঠিক মতো না হয়।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আজ সোমবার বিকালে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যুবদলের নিহত ৭৮ পরিবারের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা ও আর্থিক সহযোগিতা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। জুলাই-অভ্যুত্থানের ওপর কবিতা আবৃত্তি করেন নাসিম আহমেদ।
বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তারেক রহমানের ভাবনাকে ‘ড্রিম’ হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদেরকে যে পথ দেখাচ্ছেন, যে কথাগুলো বলছেন অর্থনীতি সম্পর্কে, রাজনীতি সম্পর্কে তিনি দেশের সামনে যে স্বপ্ন তুলে ধরছেন সেই স্বপ্ন শুনে আমার একটি কথাই মনে হয় মার্টিন লুথার কিং এর সেই ঐতিহাসিক কথা, ‘আই হেভ এ ড্রিম’।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান হ্যাজ এ ড্রিম’। ইনশাল্লাহ সেই ড্রিম নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব এবং আমরা জয় করব এবং উই শেল ওভার কাম ইনশাল্লাহ।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দিতে এবং অর্থনীতিকে সচল করতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পদক্ষেপ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের কাঠামোকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছে, অর্থনীতিতে পরিবর্তন এনেছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণ করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন একটা আমরা ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি। যখন আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা স্বপ্ন দেখছি, সুযোগ দেখছি। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি, একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজনৈতিক কাঠামো, সেটাকে আবার ভিত্তি তৈরি করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন, আমরা পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ি না করি। একটা সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্রকে তৈরি করার। দেশকে আবার অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশকে সেই দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। মাথা উঁচু করে দাঁড়াই, সফল হবো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের মানুষ ১৭ বছর আন্দোলন করেছে ভোটের জন্যে। এই ভোট এই সরকারের কাছ থেকে আমরা আদায় করেই ছাড়ব। সরকারের পেছনে সরকারের ভিতরের বাইরে যতই ষড়যন্ত্র চলুক কোনো ষড়যন্ত্রকেই বিএনপি অপ্রতিরুদ্ধ মনে করে না।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি এম আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মেহেদি আমিন, মানবাধিকার কর্মী সাইয়েদ আবদুল্লাহ, যুব দলের রবিউল ইসলাম নয়ন, এডভোকেট সোহেল রানা, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সায়েম আল মনসুর ফয়েজী, শহীদ মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে আপন, ইয়াহিয়া আলীর মেয়ে তাইয়েবা খাতুন, হাফিজুর রহমান সুমনের স্ত্রী বিধী আখতার, নাদিম মিজানের স্ত্রী তাবাসসুম আখতার নেহা বক্তব্য রাখেন।