শিরোনাম
ময়মনসিংহ, ২৬ জুলাই ২০২৫, (বাসস): ময়মনসিংহে ‘জুলাই বিপ্লবের অঙ্গীকার ও পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (শনিবার) সকাল দশটায় নগরীর সিলভার ক্যাসেল রিসোর্টে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জাকির হোসেন।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আমিরুল ইসলাম। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগরের দায়রা জজ শাহরিয়ার কবীর, নেত্রকোনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান, শেরপুরের মো. জহিরুল কবির, জামালপুরের মো. রফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের নূরুল আমীন বিপ্লবসহ আরও অনেকে।
সভায় বক্তারা ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে বলেন, এই আত্মত্যাগ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
এসময়, তাঁরা বিচার বিভাগের সক্ষমতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে একটি পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে বিচার বিভাগের পদোন্নতি, নিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মৌলনীতি হলেও স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বিচার বিভাগের নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে ওঠেনি বলে জানান তাঁরা। আলোচনায় ১৯৯৫ সালের ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলার রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথক হলেও অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এখনও বহু সংস্কার বাকি আছে।
এসময় উপস্থিত সকলে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে একটি স্বতন্ত্র ‘বিচার বিভাগীয় সচিবালয়’ গঠনের জোর দাবি জানান।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের দেওয়া সংস্কার রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করলেই দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।