বাসস
  ১২ জুলাই ২০২৫, ১৩:৪৩

মিটফোর্ডের ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে ৫ সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

ঢাকা, ১২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) এবং তারেক রহমান রবিন (২২) কে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলা ও অস্ত্র আইনের দুটি পৃথক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ অভিযানে, শুক্রবার রাত ১টার দিকে কোতোয়ালী থানার জিন্দাবাহার এলাকা থেকে মো. টিটন গাজী (৩৩) নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেপুটি কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডিএমপি এ পর্যন্ত তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তাররা হলেন মহিন, রবিন ও টিটন গাজী। র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে, আলমগীর (২৮) ও মনির (৩২)।

গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করছিলেন।

মিটফোর্ডের এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা এবং অস্ত্র আইনে একটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।