বাসস
  ০৭ জুন ২০২৫, ১১:২৫
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৫, ১২:২৭

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় দেওয়া হচ্ছে পশু কোরবানি

ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঢাকাবাসী পশু কোরবানি দিচ্ছেন। ছবি: বাসস

ঢাকা, ৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীসহ সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের পর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে পশু কোরবানি। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের অনুভূতি ও ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঢাকাবাসী সকাল থেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে পশু কোরবানি দিচ্ছেন। গ্যারেজ, রাস্তা কিংবা হাউজিং এলাকার নির্ধারিত স্থানে, যেভাবে সুযোগ মিলেছে সেখানেই চলছে পশু জবাইয়ের কাজ।

শনিবার সকাল ৭টার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে। কোথাও চলছে গরু-ছাগল জবাই, আবার কোথাও মাংস কাটা, বণ্টন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। সব মিলিয়ে শহরের নানা প্রান্তে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে আনন্দ ও উদ্দীপনা।

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ সোহরাব বাসস’কে বলেন, ‘ভোর ছয়টায় ঈদের নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরে গরু কোরবানি দিয়েছি।’ বাড়ির গেটের সামনেই পশু জবাই করেছি। এখন গ্যারেজে মাংস কাটার কাজ চলছে।

দক্ষিণ বনশ্রীর প্রতীক হাউজিংয়ের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, তিনি কোরবানির জন্য দুটি গরু কিনেছেন। ইতোমধ্যে একটির জবাই সম্পন্ন হয়েছে।

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন জানান, ‘সকাল ৭টায় ঈদের জামাত শেষে গরু কোরবানি দিয়েছি। মাংস কাটা ও বণ্টনের কাজ প্রায় এখন শেষ পর্যায়ে।’

প্রতীক হাউজিংয়ের বাসিন্দা ডা. মুনীর বলেন, ‘এই সোসাইটির ১০টি ভবনে ৪৮৮টি পরিবার বসবাস করে। প্রতিবছর এখানে প্রায় ২শটিরও বেশি পশু কোরবানি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দুপুর ১২টার আগেই কোরবানির পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’

তিনি আরো জানান, পশু জবাই শেষে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হবে এবং এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে।