বাসস
  ০২ জুন ২০২৫, ১৫:২৪

পটুয়াখালীর তিনটি স্থানে ধসে গেছে জরুরি সুরক্ষা বাঁধ

পটুয়াখালীর তিনটি স্থানে ধসে গেছে জরুরি সুরক্ষা বাঁধ। ছবি: বাসস

পটুয়াখালী, ২ জুন, ২০২৫ (বাসস): জেলার কলাপাড়ায় নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের তীব্র ঝাপটায় ধানখালীর লোন্দা হাফেজ উদ্দিন প্যাদা বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধের রিভার সাইটের সুরক্ষায় দেওয়া জিও ব্যাগ ধসে গেছে।

প্রায় ১০০ ফুট এলাকাজুড়ে টিয়াখালী নদীতে ধসে গেছে বাঁধের রিভার সাইট। একটি স্লুইসসহ মূল বাঁধ এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৪ নম্বর পোল্ডারের ওই বাঁধটি মেরামত না করলে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মো. হালিম প্যাদা জানান, এখানে ব্লক দিয়ে সুরক্ষা দেওয়া জরুরি। একই দশা পাঁচ মাস আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে রাবনাবাদ পাড়ের চম্পাপুরের করমজাতলা এলাকার বাঁধের। জিওব্যাগ জিও টিউব ধসে মূলবাঁধের দুই তৃতীয়াংশ ধসে গেছে। রিভারসাইট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন দুই গ্রামসহ গোটা এলাকায় প্লাবনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা রাসেল ফকির জানান, জরুরি ভিত্তিতে এখানে প্রটেকশন দেওয়া দরকার। নাহলে গোটা এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নীলগঞ্জের গৈয়াতলা এলাকায় বেড়িবাঁধের রিভার সাইট জলোচ্ছ্বাসে এক তৃতীয়াংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি অর্থ বছরে এ বাঁধটি মেরামত করে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের অস্বাভাবিক জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে বাঁধটি আবার বিধ্বস্ত হয়। জরুরিভাবে সংস্কার করা না হলে পুরো বাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হবে সবজিপল্লী, মাছের খামার, গবাদি পশু, কৃষিজমিসহ ঘরবাড়ি।

উত্তর গৈয়াতলা, পূর্ব গৈয়াতলা, পূর্ব সোনাতলা, মোস্তফাপুর, মোহাম্মদপুর ও তাহেরপুরের বাসিন্দারা এ কারণে ভয়াবহ আতঙ্কে রয়েছেন। এসব এলাকার মানুষ চাষাবাদের স্বার্থে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বাসস'কে জানান, আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।

তিনি আরো জানান, মাটি ও প্রয়োজনীয় জায়গা পাওয়া গেলে ওখানে স্থায়ী প্রটেকশনের জন্য বিকল্প বেড়িবাঁধ করতে হবে। নইলে ভাঙন স্থায়ীভাবে রোধ করা সম্ভব নয়।