বাসস
  ০১ জুন ২০২৫, ২০:২০

ওজোনস্তর ক্ষয়কারী গ্যাসের ব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে : খুলনা বিভাগীয় কমিশনার

রোববার দুপুরে খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাসস

খুলনা, ১ জুন, ২০২৫ (বাসস) : মন্ট্রিল প্রটোকলে ওজোনস্তর  ক্ষয়কারী গ্যাসগুলোর ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার । 

ওজন স্তর রক্ষায় বাংলাদেশে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। 

আজ রোববার দুপুরে খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন ‘রিনিউয়াল অব ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং ফর দ্য ফেজ-আউট অব ওডিএস (ফেজ-১০)’ প্রকল্পের আওতায় কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়। 

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. সাদিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিনিউয়াল অব ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং প্রকল্পের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন মানিক।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে। যে সকল রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ক্ষতিকর নয় সেগুলো ব্যবহারে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করতে হবে। মনে রাখা দরকার ওজোনস্তর ক্ষয়কারী গ্যাসগুলো কেবল ওজোনস্তরেরই ক্ষতি করে না, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এ সকল ক্ষতিকর গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, বাড়িতে ফ্রিজ ও এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়মিত সার্ভিসিং করা ও এসি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে ব্যবহার না করার জন্য সবাইকে সচেতন করতে হবে। একই সাথে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারে আগ্রহী হতে হবে। সরকারের উদ্যোগ ও  নাগরিকদের সচেতনতার মাধ্যমে ২০৪০ সালের মধ্যে ক্ষতিকর গ্যাসগুলোর ব্যবহার বন্ধ হবে বলে আশা করা যায়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জীবজগতের অস্তিত্ব রক্ষায় ওজোনস্তরের অবদান অপরিসীম। কিন্তু মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের কারণে ওজোনস্তর দিন দিন ক্ষয়ে যাচ্ছে। ক্ষয়িষ্ণু ওজোনস্তরের মধ্যে দিয়ে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি অতিসহজেই পৃথিবীপৃষ্ঠে প্রবেশ করে মানবস্বাস্থ্য, জীবজগৎ, উদ্ভিদজগৎ ও অণুজীবের তথা জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করছে। মাত্রাতিরিক্ত অতিবেগুনি রশ্মি মানুষের ত্বকে ক্যান্সার, চোখে ছানি পড়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস-সহ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ওজোনস্তর ক্ষয়ের পরোক্ষ প্রভাবে জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যা, খরা ও মরুময়তা-সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।