শিরোনাম
সুলতান মাহমুদ
নড়াইল, ১ জুন ২০২৫ (বাসস) : জেলায় আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৫৪ হাজার ৫৮৫টি গবাদি পশু। জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার ৪১৬টি পশু। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ১৪ হাজার ৬৯টি উদ্বৃত্ত পশু অন্য জেলায় পাঠানো যাবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ২৭৫টি পশু প্রস্তুত করা হলেও কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১১ হাজার ৪৭১টি পশু। এ উপজেলায় উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৮০৪টি। লোহাগড়া উপজেলায় ২০ হাজার ৩২৫টি পশু প্রস্তুত করা হলেও কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১৯ হাজার ১৪৮টি পশু। এ উপজেলায় উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা একহাজার ১১৭টি। কালিয়া উপজেলায় ১৭ হাজার ৯৮৫টি পশু প্রস্তুত করা হলেও কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৯ হাজার ৮৯৭টি পশু। এ উপজেলায় উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ৮হাজার ৮৮টি। গৃহস্থালি থেকে শুরু করে খামারিরা এসব গরু-ছাগল লালন-পালন করেছেন।
ইতোমধ্যে নড়াইল জেলার সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার ১০টি হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে। সদর উপজেলার তারাপুর গ্রামের গরুর খামারি মিল্টন হোসেন, কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের হিমু শেখ, হাড়িয়াগোপ গ্রামের রবিউল ইসলামসহ একাধিক বিক্রেতা জানান, গতবছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম কম। গরুর পাশাপাশি ছাগলের দামও কম।
তারা জানান, গতবছর কোরবানির হাটে যে ষাঁড় একলাখ টাকা থেকে একলাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই ষাঁড়ের দাম এবার ক্রেতারা বলছেন ৯০ হাজার টাকা থেকে থেকে একলাখ টাকা। এছাড়া ছাগলের দামও গত বছরের তুলনায় বেশ কম। তাদের দাবি, বড় আকারের ছাগল এবার ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাম বলছেন ক্রেতারা। অথচ একই সাইজের ছাগল গতবছর বিক্রি করেছেন ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকায়। এদিকে সাশ্রয়ী দামে কোরবানির পশু কিনতে পেরে খুশি স্থানীয় ক্রেতারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, নড়াইলে খামারসহ গৃহস্থালি বাড়িতে যেসব গরু-ছাগল লালন-পালন করা হয়েছে, তা স্বাভাবিক খাবারের মাধ্যমে বড় করা হয়েছে। তারপরও গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাটগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম রয়েছে।