শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১৮ মে, ২০২৫ (বাসস) : আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম জেলা ও নগরীর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে কোরবানির পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম।
তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীতে প্রথমে ৬টি ও পরবর্তীতে আরও ৩টিসহ মোট ৯টি গরুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর বাইরে নগরে আর কোন গরুর হাট বসতে পারবে না। উপজেলা পর্যায়েও অনুমোদিত হাট ব্যতীত যত্রতত্র গরুর হাট বসাতে পারবে না।
আজ রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা ও জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির পৃথক সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ১০টি সরকারি দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম ও অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে খাতওয়ারি গত মাসের অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সৈয়দ মাহবুবুল হক।
সভায় জানানো হয়, কোরবানির পশুর কোন ধরনের রোগ আছে কি না, তা যাচাইয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের টিম সার্বক্ষণিক হাটে থাকবে।
পশুর হাট ঘিরে কোন ধরনের যানজট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকার সমন্বয়ভিত্তিক কার্যক্রমগুলোকে প্রাধান্য দিয়েছেন। জেলা ভিত্তিক কার্যক্রমগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার সার্বিক উন্নয়নে আমরা সকলে মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করবো। সরকারি প্রত্যেক দপ্তরকে সংস্কারের আওতায় এনে মেধা, দক্ষতা ও সততা দিয়ে আমাদের কার্যক্রমগুলো সুনিশ্চিত করবো, যাতে সন্তোষজনক হয়। এ জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
সভায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র ব্যতীত হাসপাতাল, ল্যাব, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলোর রেজিস্ট্রেশন হালনাগাদ করা যাচ্ছেনা। প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন হালনাগাদের পূর্বে পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেও সময়মতো না পাওয়ার বিষয়ে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। কোন ধরনের হয়রানি ছাড়া আবেদনের সাথে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট পাওয়া সাপেক্ষে পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদানে আন্তরিক হলে ভালো হয়।
সভায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুনায়েত কাউছার বলেন, আমরা ইতোপুর্বে কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে চোরাই গরুসহ গরু চোর চক্রের মূল হোতা ও চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। গরু চুরি রোধে সতর্ক থাকতে হবে। পশুর হাটে জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন বসানোর পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হাটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। অধিক টাকা বহনকারী গরু-ছাগল ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা চাইলে তা আমরা নিশ্চিত করবো। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কে যানজট নিরসনসহ সড়কে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও সময়োপযোগী করা হবে।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পৃথক সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. নোমান হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম প্রমুখ।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিবৃন্দসহ বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সমন্বয় সভা ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন।