বাসস
  ১৬ মে ২০২৫, ১৭:৫২
আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, ১৮:২৮

বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটির অবনতি পুনরুদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

ছবি : বাসস

রাজশাহী, ১৬ মে, ২০২৫ (বাসস): বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটির উর্বরতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট নানা কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

মাটির গুণগত মান ধরে রাখতে জৈব ও উদ্ভিদ-প্রাণিজ বর্জ্যভিত্তিক সার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, মাটির আরও অবনতি ঠেকাতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ দরকার। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাটির মান সংরক্ষণ অপরিহার্য।

আজ রাজশাহীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দুটি সেমিনারে এই মন্তব্য করেন তারা। সেমিনার দুটি ছিল ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটির সমস্যা: প্রভাব ও ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘জৈব সার: সুস্থ মাটির নিরাপত্তা’। আয়োজন করে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)।

সেমিনার দু’টির মূল উদ্দেশ্য ছিল বরেন্দ্র অঞ্চলের পানি-সংকটাপন্ন এলাকায় মাটির উর্বরতা রক্ষার কৌশল নিয়ে আলোচনা করা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এসআরডিআই-এর মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই-এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন এসআরডিআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমীর মোহাম্মদ জাহিদ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। তাঁরা মৃত্তিকা সংরক্ষণে আধুনিক জ্ঞান ও গবেষণার দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সামিয়া সুলতানা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মাটির নাইট্রোজেন, ফসফরাস কমে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে মাটির আর্দ্রতা ধারণ ক্ষমতাও। এ অবস্থায় উদ্ভিদ ও প্রাণিজ বর্জ্যভিত্তিক সার কার্যকর সমাধান হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জৈব পদার্থ মাটিকে সার ও কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও রক্ষা করে।

এসআরডিআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নুরুল ইসলাম বলেন, মাটির পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগ জরুরি। তিনি জানান, জৈব পদার্থের ব্যবহার কমে যাওয়ায় মাটির গুণমান নষ্ট হচ্ছে। সবুজ সার ও জৈব সার ব্যবহারে অনীহাও এর জন্য দায়ী।

এসআরডিআই-এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, জৈব সার মাটির পুষ্টি রক্ষা করে। এটি মাটির পানিধারণ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রাসায়নিক সারের নেতিবাচক প্রভাব কমায়।

অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেমিনারে অর্জিত জ্ঞান মাঠ পর্যায়ে কাজে লাগাতে হবে। তিনি মাঠ কর্মীদের আহ্বান জানান, কৃষকদের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিতে।