শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ মে, ২০২৫ (বাসস) : ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ২০২ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে।
গত ৭ ও ৮ মে এসব পুশ ইন করা হয়। তাদের মধ্যে ২৯ জনই রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভারতের শরণার্থী শিবিরে থাকা পাঁচজনকেও পাওয়া গেছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
বিজিবি মহাপরিচালক পুশ ইনের বিষয়ে বলেন, গত ৭ ও ৮ মে ২০২ জনকে বিএসএফ বিভিন্ন স্থানে পুশ ইন করে, যারা দু-তিন বছর অথবা ১৫ থেকে ২০ বছর আগে ভারতে গিয়েছিল। পরে উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ ও এসবি’র মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এদের মধ্যে ২৯ জন রোহিঙ্গা ছিল। ২৯ জন রোহিঙ্গার মধ্যে পাঁচজন ভারতে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) দ্বারা নিবন্ধিত। পরে তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, পুশ ইন করা ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের ভারতীয় নাগরিকত্বের আধার কার্ড রয়েছে। বিএসএফ তাদের কার্ড রেখে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। এসব বিষয়ে বিজিবি’র পক্ষ থেকে অভিযোগ ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সুন্দরবন এলাকার মান্দারবাড়িয়ায় ভারতীয় জাহাজের মাধ্যমে ৭৮ জনকে ফেলে যায় বিএসএফ। নির্জন এলাকায় ফেলে যাওয়ার পর তাদের উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
তিনি আরও বলেন, এটি মানবাধিকারের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। বিজিবি বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ-এর কাছে অভিযোগ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় বিদেশ বিষয়ক (এমইএ)-এর সাথে যোগাযোগ করবে। পুশ ইন ব্যক্তিদের পুশ ব্যাকের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে। বিএসএফ গত দুই দিনে খাগড়াছড়ি পয়েন্ট দিয়ে আরও ২০০/৩০০ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন-এর চেষ্টা করেছে।