বাসস
  ১১ মে ২০২৫, ১৮:৫০
আপডেট : ১১ মে ২০২৫, ২০:৩১

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে পাখি বিক্রির চেষ্টাকালে বিক্রেতাকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড

ছবি : বাসস

খাগড়াছড়ি, ১১ মে, ২০২৫ (বাসস) : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে সবুজ টিয়া পাখি বিক্রির চেষ্টাকালে বিক্রেতাকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে ক্রেতা সেজে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি টিয়া পাখির ছানা জব্দ করে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজ রোববার সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী বাজার এলাকা থেকে পাখিগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় বিক্রেতা মো. হাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। আটক মো. হাফিজুর রহমান খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের রেংকার্যা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আবু হানিফ।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ‘নীল আকাশের প্রজাতি’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বন্যপ্রাণী হিসেবে অর্ন্তভুক্ত সবুজ টিয়া বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনবিভাগের  নাড়াইছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, হাজাছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন, মেরুং রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাফর উল্লাহ ও মো. আব্দুল কুদ্দুস বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করেন। পরে তারা ক্রেতা সেজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করেন। 

এ ঘটনায় দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিক্রেতাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী পাখি বা বন্যপ্রাণী শিকার, ধরা কিংবা বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বিক্রেতা মো. হাফিজুর রহমান আদালতকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড পরিশোধ করেছেন। আর টিয়া পাখির ছানাগুলোকে বন বিভাগের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
নাড়াইছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, পাখির ছানাগুলো এখনো ভালোভাবে উড়তে পারে না। আপাতত বন বিভাগের হেফাজতে রয়েছে। ওড়ার উপযুক্ত হলে ছানাগুলোকে বনে অবমুক্ত করা হবে।