বাসস
  ১১ মে ২০২৫, ১৪:৫২

নাটোরের উদ্বৃত্ত লক্ষাধিক কোরবানির পশু যাবে সারাদেশে

ছবি : সংগৃহীত

নাটোর, ১১ মে, ২০২৫ (বাসস) : ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে প্রস্তুত ৫ লাখ ১৫ হাজার কোরবানির পশুর মধ্যে জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে ২ লাখ ৪১ হাজার পশু। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত এসব কোরবানির পশু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবছর প্রায় ২০ হাজার খামারি মোট ৫ লাখ ১৪ হাজার ২১৫টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করেছেন। এরমধ্যে  গরু ১ লাখ ১৮ হাজার ৩১৭টি, মহিষ ৭ হাজার ৯২৮টি, ছাগল ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৭টি, ভেড়া ৩৮ হাজার ৪৫১টি এবং দুম্বা ৩২টি। জেলায় এবছর কোরবানির পশুর চাহিদা ২ লাখ ৭৩ হাজার ২০৫টি। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত থাকছে ২ লাখ ৪১ হাজার ১০টি।

জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার থেকে বিরত থেকে নিরাপদ উপায়ে পশু হৃষ্ট-পুষ্টকরণে জেলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৯৫ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ প্রদান ও ১১৪টি উঠান বৈঠক করেছে। এছাড়াও প্রায় পাঁচ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে । এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ নিয়মিত খামার পরিদর্শন করা হচ্ছে। পাশাপাশি খামারগুলোতে চুরি রোধ করে পশুগুলো নিরাপদ রাখা, পশু পরিবহণ, অর্থ লেনদেন ইত্যাদি বিষয়েও  খামারিদের সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানান নাটোর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তফা জামান।

নাটোর সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকার আদর্শ খামারি রেকাত আলী বলেন, আমার খামারের গরুর ক্রেতা প্রায় সকলেই রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য এলাকার বাসিন্দা। নাটোরের খামারিরা ঢাকার কচুক্ষেত, গাবতলী, মীরপুর, শাহজাহানপুর, বারিধারা, হাজারীবাগ, বাড্ডা, মৌচাক, ক্যান্টনমেন্ট হাট, তেজগাঁও, রামপুরা ইত্যাদি হাটে সচরাচর গিয়ে থাকেন। ঢাকা ছাড়াও রাজশাহী, পাবনা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় গিয়েও তারা গরু বিক্রি করেন।  

নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন বাসসকে বলেন, এ বছর জেলায় ২০০ কোটি টাকার কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে । আগামী সপ্তাহ থেকে জেলার ২৬টি হাট এবং জেলার বাইরে পশু বিপণন কার্যক্রম শুরু হবে। নাটোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে ইচ্ছুক খামারিদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। এই কার্যক্রমকে নিরাপদ করতে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছি।