বাসস
  ০৬ মে ২০২৫, ১৭:২৩
আপডেট : ০৬ মে ২০২৫, ১৯:৩৩

নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করছে ইউজিসি

মঙ্গলবার ইউজিসি অডিটোরিয়ামে ইউজিসি ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের ‘র‌্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট টুলস ভ্যালিডেশন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : বাসস

ঢাকা, ৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : নতুন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগী সংস্থা হিসেবে ইউজিসি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর কোন ধরনের খবরদারি নয় বরং একটি টিম হিসেবে কাজ করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন। 

আজ মঙ্গলবার ইউজিসি অডিটোরিয়ামে ইউজিসি ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের ‘র‌্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট টুলস ভ্যালিডেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ বলেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তীব্র মানসিক চাপে রয়েছেন। তাদেরকে কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। তাদের কল্যাণ হয় এমন সব কাজ আমাদের করতে হবে।

ড. এসএমএ ফায়েজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অবদানের জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

এসময় শিক্ষার্থীদের বেকার সমস্যা নিরসনে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও প্রফেসর ড. মাছুমা হাবীব। 

ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোছা. জেসমিন পারভীনের সঞ্চালনায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম ও ইউসেনেস্কো প্রতিনিধি রাজু দাস উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. শাফিউন নাহিন শিমুল ‘র‌্যাপিড নিডস আ্যাসেসমেন্ট টুলস ভ্যালিডেশন’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। 

উল্লেখ্য, সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।