শিরোনাম
রংপুর, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন ধরে চলমান তাপদাহের মধ্যে আকস্মিক এই ঝড়ে অবশ্য কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে নগরবাসী। তবে কয়েক মিনিটের ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। শুরুতে সৃস্টি হওয়া ধুলো ঝড়ের কারণে বিড়ম্বনাও পোহাতে হয়েছে এলাকাবাসীকে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১০ থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল। স্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ছিল গতিবেগ। তবে স্থায়ীত্ব কম থাকায় ক্ষতির পরিমাণ ছিল সহনীয়।
এদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, ঝড় বৃষ্টি হলে স্বাভাবিকভাবেই ফসলের ক্ষতি হয়। তবে এখনো পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণ করা যায়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় হঠাৎ ধুলো ঝড় শুরু হয়। এতে অস্বস্তিতে পড়ে নগরবাসী। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত। সেই সঙ্গে বৃষ্টি। কালবৈশাখী ঝড়ে নগরীর অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে গেছে। কোথাও কোথাও ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়। এসময় পুরো নগরী লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে। তবে কয়েকদিন ধরে চলা দাবদাহের কারণে হাঁপিয়ে ওঠা রংপুর নগরীতে ফিরেছে প্রশান্তি। বৃষ্টিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নগরবাসী। জেলায় এটি ছিল চলতি মৌসুমে প্রথম কালবৈশাখী।
এই ঝড়ে জেলার তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে আম, লিচু, ভুট্টা, ধান, পাটসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও বাতাসের বেগের কারণে ঘরবাড়ি ও গাছ-গাছালির পাশাপাশি উড়ে গেছে হালকা স্থাপনা।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ সময় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০ মিলিমিটার। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।