শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১০ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এখানে একটি বড় সমস্যা হলো খালের জায়গা দখল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘খালের মধ্যেই কিছু বিল্ডিং নির্মিত হয়েছে, যা পানির স্বাভাবিক প্রবাহ আটকে দিচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগ কমানোর জন্য যদি খালের ওপর কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকে, তাহলে আমরা তা ভাঙতে বাধ্য হবো। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে মুক্ত করা।’
আজ সোমবার চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকার জলাবদ্ধতা কমাতে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের চাক্তাই ডাইভার্সন খাল (বীরজাখাল-বৌবাজার) পরিষ্কার ও খনন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বীরজাখাল এখন আর খাল নেই, এটি যেন একটি ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। চারপাশে শুধু ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। খাল পরিষ্কার না করায় এর অস্তিত্ব প্রায় হারিয়ে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে কোমর থেকে গলা পর্যন্ত পানি জমে যায়। এটি ভয়াবহ একটি অবস্থা। এলাকাবাসী জানতে চায়, কীভাবে এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে? আমি আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি যাতে নগরবাসী দ্রুত এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পায়।’
তিনি বলেন, ‘সিডিএর (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) আওতায় যে জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্প চলছে, তা এ বছর শেষ হচ্ছে না। আগামী বছরের জুন-জুলাই নাগাদ এই প্রকল্প শেষ হবে। তার আগ পর্যন্ত আমাদের নালা ও খালগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে জলাবদ্ধতার সমস্যা কিছুটা হলেও কমে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী মারুফসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।