শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : অনলাইন পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত গ্রুপ, এডমিন ও অর্থ লেনদেনকারী প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এ সংক্রান্ত বিষয় তদন্তকালে উৎঘাটিত তথ্য ও ঘটনার আলোকে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।
আজ ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটর ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আদালত আদেশে বলেন, গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) একটি গণমাধ্যমে ‘টেলিগ্রামে হাজারো তরুণীর নগ্ন ভিডিও বিক্রি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ সংবাদ কয়েকটি পত্রিকার অনলাইন ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়। এছাড়া সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার ও আলোচনা হয়। সংবাদটি জন গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ও ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯০(১) (সি) ধারায় অত্র আদালতের নজরে আসে এবং জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় উক্ত সংবাদটি আদেশের জন্য গ্রহণ করা হলো।
সংবাদ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেইসবুক ও টেলিগ্রাম অ্যান্সের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাইরাল ভিডিও, ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও এবং নগ্ন ও পর্নে ভিডিও টেলিগ্রামের বিভিন্ন গ্রুপ পরিচালনা করে অর্থের বিনিময়ে ও হয়রানী করার জন্য তা শেয়ার করা হয়।
এর ফলে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন ও ভিডিওর মাধ্যমে জনসাধারণ ও বিশেষ করে নারীদেরকে হয়রানি করা হয় মর্মে সংবাদে প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদে অপরাধ পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ ও পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৪২০/৪১৯/৪০৬/৫০৬সহ প্রচলিত বিভিন্ন আইনের সরাসরি লংঘন এবং অপরাধ মর্মে প্রতীয়মান হয়।
বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯০(১) (সি) ধারায় উক্ত সংবাদ আমলে নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন থাকায় ডিএমপি ও ডিবি’র সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে একজন চৌকস ও দক্ষ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ পূর্বক সংবাদে প্রকাশিত তথ্যের আলোকে অনলাইন পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত গ্রুপ, এডমিন ও অর্থ লেনদেনকারী প্রতারক চক্রকে শনাক্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হলো। তদন্তকালে উৎঘাটিত তথ্য ও ঘটনার আলোকে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রদান করা হলো। এছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রতি ১৫ দিন অন্তর তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হলো।