বাসস
  ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৫৫

বগুড়ায় গানে গানে শহীদদের স্মরণ করেন শিক্ষার্থীরা

ফাইল ছবি

কালাম আজাদ

বগুড়া, ১ আগস্ট ২০২৫ (বাসস): জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ২০২৪ সালের এক আগস্ট (/৩২ জুলাই) বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি পালন করেন। ওইদিন শহরের নিশিন্দারা উপশহর এলাকায় বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় গানে গানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করেন শিক্ষার্থীরা। 

জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১ আগস্ট পূর্ব ঘোষিত ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা হাতে বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অবস্থান নেন। তারা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দেওয়াল লিখন ও বিদ্রোহী এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।

কর্মসূচিতে তারা হামলা ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার দাবি করেন। আন্দোলনকারীরা তাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকে।

এদিকে বেলা ১টার দিকে বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজের সাবেক এবং বর্তমান কিছু শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন পুলিশ তাদের তাড়িয়ে দেন। এ সময় শিক্ষার্থী ও কয়েকজন অভিভাবক শহরের হাকির মোড়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে তারা উপশহরে খেলার মাঠে অবস্থান নেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের অনেক ভাই-বোন নিহত হয়েছেন। তাদের বীরগাথা আত্মত্যাগ স্মরণ করতেই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আমরা সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এখানে জড়ো হয়েছি। গানে গানে, দেয়াল লিখনের মাধ্যমে আমরা নিহতদের স্মরণ করছি। আমাদের এ আন্দোলনে শিক্ষকদেরও পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেলেও তাদের বাধা দিতে দেখা যায়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যতম সংগঠক নিয়তি সরকার বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকেই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। পুলিশ হয়রানি করেছে, মানসিক নির্যাতন করেছে কিন্তু আমরা দমে যাইনি। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। বৈষম্য বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে এখনো অনেক পথ বাকি।