শিরোনাম

ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে সন্দেহভাজন মাদকপণ্য পরিবহনকারী একটি নৌযানে চালানো মার্কিন হামলায় আরও দুইজন কথিত মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার এই হামলা চালানো হয় বলে মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
এই হামলার ফলে এই অঞ্চলে ওয়াশিংটনের অভিযানে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
মার্কিন দক্ষিণ কমান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, জাহাজটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক-পাচারের রুট ধরে চলাচল করছিল এবং মাদক পাচারের সাথে নিয়োজিত ছিল। মার্কিন ওই হামলায় দুইজন নিহত হয়েছে।’
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী কমপক্ষে ৩০টি হামলা চালিয়েছে। যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারের জন্য ব্যবহৃত নৌকা বলে দাবি করেছে। যার বেশিরভাগই পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে সংঘটিত হয়েছে। কিছু হামলা ক্যারিবিয়ান সাগরেও ঘটেছে।
মার্কিন প্রশাসন এমন কোনও প্রমাণ দেয়নি যে লক্ষ্যবস্তু করা নৌকাগুলো মাদক পাচারের সাথে জড়িত ছিল, যার ফলে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলেছে যে হামলাগুলো সম্ভবত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ওয়াশিংটন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মার্কিন সেনাবাহিনীর ওই পোস্টে ঠিক কোথায় হামলাটি হয়েছে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার নিশ্চিত করার পর সর্বশেষ হামলার খবর আসে যে ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলায় কথিত মাদক নৌকার জন্য একটি ডকিং এলাকায় আঘাত করে ধ্বংস করেছে, যা মাদক পাচারকে লক্ষ্য করে সামরিক অভিযানের প্রথম স্থল হামলা হতে পারে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে চাপ বাড়িয়েছে।
নিকোলাস মাদুরো ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তারা ল্যাটিন আমেরিকার দেশটির বিশাল তেলের ভাণ্ডারে প্রবেশাধিকার পেতে শাসন ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর আংশিক নৌ অবরোধ আরোপ করেছে এবং সম্প্রতি তেল ট্যাংকার আটক করেছে।
তথ্য ফাঁসের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সমুদ্রে বা স্থলে সন্দেহভাজন মাদক কার্টেলগুলোতে হামলা চালানোর জন্য তার আইন প্রণেতাদের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।