বাসস
  ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:২০

ইন্দোনেশিয়ার বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। 

বৃহস্পতিবার একজন উদ্ধার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

উত্তর সুমাত্রা কয়েকদিন ধরে প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত, যার ফলে প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা ও ভূমিধস ঘটে।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা এমি ফ্রিজার বুধবার রাতের তথ্য উদ্ধৃত করে এএফপিকে বলেন, ‘আজ সকালে এখনও পর্যন্ত কোনও নতুন কোন খবর পাওয়া যায়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ছয়টি স্থানে কমপক্ষে ২৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এমি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং এর পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ পরিষেবাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, এখন কর্তৃপক্ষ উপদ্রুত স্থানগুলোতে পৌঁছাতে ও সহায়তা প্রদানের জন্য ধ্বংসাবশেষ অপসারণের দিকে মনোনিবেশ করছে। 

স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে পার্শ্ববর্তী আচেহ প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ১ হাজার ৫০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এএফপির একজন সাংবাদিক জানিয়েছে, প্রদেশের কিছু অংশের বিদ্যুৎ পরিষেবাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ সংস্থা পেরুসাহান লিস্ট্রিক নেগারা বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আকস্মিক বন্যায় একটি ট্রান্সমিশন টাওয়ার ধসে পড়ার পর, ধীরে ধীরে পর্যায়েক্রমে বাড়িগুলোতে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য তারা কর্মী মোতায়েন করেছে।

আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে যে বুধবার সেনিয়ার নামে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে, যা আগামী দিনে এই অঞ্চলে আরও চরম আবহাওয়া বয়ে আনতে পারে।

বার্ষিক বর্ষা মৌসুমে (সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে) প্রায়শই ভারী বৃষ্টিপাতের সৃষ্টি হয় এবং এর যার ফলে ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা ও পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়।

জলবায়ু পরিবর্তন ঝড়ের ধরণকে প্রভাবিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে মৌসুমের সময়কাল ও তীব্রতা। 

পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রভাবে দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা ও প্রবল বাতাস দেখা দেয়।

মধ্য জাভায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে চলতি মাসে কমপক্ষে ৩৮ জন মারা গেছেন এবং প্রায় ১৩ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।