শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : গত মাসের বিদ্রোহের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে নেপালের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করা হয়েছে। বুধবার আদালতের একজন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।
কাঠমাণ্ডু থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সংক্ষিপ্ত নিষেধাজ্ঞা, অর্থনৈতিক দুর্দশা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৮ সেপ্টেম্বর যুবকদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে সরকারের মারাত্মক দমন-পীড়নের পর দ্রুত দেশব্যাপী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দুই দিনের সহিংসতায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়। সংসদ ও সরকারি অফিসে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দিলে অনেক সরকারি অফিস পুড়ে যায় এবং প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সরকার ভেঙে পড়ে।
৭৩ বছর বয়সী সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয় এবং এর কিছুক্ষণ পরেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়।
তবে এই পদক্ষেপগুলোর বৈধতা এখন তদন্তাধীন।
আদালতের তথ্য কর্মকর্তা নিরঞ্জন পান্ডে এএফপি’কে বলেছেন, ‘নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়াকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে এগারোটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে’।
পান্ডে বলেছেন, আবেদনগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলছে। পরে শুনানির সময় নির্ধারণ করা হবে।
পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার একদিন পর আটটি রাজনৈতিক দলের নেতারা সংসদ পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন।
আইনজীবী দীনেশ ত্রিপাঠি বলেছেন, ‘সংবিধানে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে বলে কল্পনা করা হয়নি’।
তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি একটি চ্যালেঞ্জ, তবে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।’
৭৩ বছর বয়সী মার্কসবাদী কেপি শর্মা অলি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে চারবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে তিনি ‘অসাংবিধানিকভাবে ভেঙে দেওয়া সংসদ পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছেন।’
বিক্ষোভের সময় সুপ্রিম কোর্ট ভবনও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। অনেক শাখার লোকজন তাঁবুর নীচে বসে কাজ করছেন।