শিরোনাম
ঢাকা, ১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : মরক্কোর বেশ কয়েকটি শহরে মঙ্গলবার গভীর রাতে বিক্ষোভরত তরুণ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সংস্কারের দাবিতে কয়েকদিনের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পর প্রথমবারের মতো দু’পক্ষ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ভিডিওগুলিতে দেখা গেছে, আগাদিরের কাছে ইনেজগানে মুখোশধারী বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারছে, একটি শপিং সেন্টারের কাছে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং স্থানীয় একটি ডাকঘর ভাঙ্গচুর করছে।
কাছাকাছি আইত আমিরা, মরক্কোর মধ্যাঞ্চলীয় বেনি মেল্লাল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ওজদায় একই রকম দৃশ্য দেখা গেছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
এই সংঘর্ষে কেউ আহত হয়েছে কি-না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
‘জেনজি ২১২’ নামে পরিচিত তরুণদের একটি দলের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এর প্রতিষ্ঠাতাদের সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
মঙ্গলবার গভীর রাতে জেনজি ২১২ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পেইজে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে, দলটি ‘সরকারি বা ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাঙচুরের জন্য দুঃখ প্রকাশ’ করেছে।
এতে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করার ও তাদের ন্যায্য দাবির বৈধতা ক্ষুণ্ন হতে পারে—এমন আচরণ এড়াতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে। তবে যদিও আজকের আগে কোনও সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
মরক্কোর প্রসিকিউটরগণ বলেছেন, তারা বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য ৩৭ জনের বিচার করবেন।
মরোক্কান অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটস (এএমডিএইচ) জানিয়েছে, গত তিন দিনে ২০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা মূলত তরুণ। এদের অধিকাংশকেই পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মরোক্কান সংবাদ সংস্থা এমএপি জানিয়েছে, কাসাব্লাঙ্কায় পাবলিক প্রসিকিউটর মঙ্গলবার ১৮ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার জন্য একটি আবেদন জমা দিয়েছেন।
সপ্তাহান্তে বিক্ষোভ চলাকালীন যান চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ছয় জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরকে একটি বিশেষ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জেনজি-২১২ কয়েকদিন আগে ‘স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই’ এর মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ডাক দেয়।
এই বিক্ষোভগুলো এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন মরক্কোর সামাজিক বৈষম্যের ওপর জনগণের অসন্তোষ রয়েছে।
আগাদিরের একটি সরকারি হাসপাতালে আট জন অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন জনসাধারণের ক্ষোভের একটি বিশেষ উৎস।