বাসস
  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:০৭

বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর জন্য নিষিদ্ধ নির্মাতাদের ফিরিয়ে আনবে ইউটিউব

ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে ভুয়া কনটেন্ট প্রচারের কারণে পূর্বে নিষিদ্ধ করা কনটেন্ট নির্মাতাদের পুনর্বহাল করতে যাচ্ছে ইউটিউব। 

মঙ্গলবার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জিম জর্ডানকে পাঠানো মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রক্ষণশীল সহযোগীরা ভুয়া তথ্য বিরোধী নীতিকে সেন্সরশিপের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করে আসছেন।

অ্যালফাবেটের আইনী পরামর্শদাতা হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান জিম জর্ডানকে লেখা পাঁচ পৃষ্ঠার চিঠিতে বলেন, যারা পূর্বে কোভিড-১৯ ও নির্বাচনী সততা সম্পর্কিত কিন্তু এখন আর কার্যকর নয়, এমন নীতি ভঙ্গের কারণে প্ল্যাটফর্ম থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, মুক্ত মত প্রকাশের প্রতি কোম্পানির অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবে ইউটিউব সেই সকল নির্মাতাকে আবার সুযোগ দেবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে রক্ষণশীল কণ্ঠস্বরকে মূল্য দেয় এবং স্বীকার করে যে এরা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে ও গণতান্ত্রিক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

তবে কোন কোন নির্মাতা কবে ফিরবেন, সে ব্যাপারে এখনো পরিষ্কার করে কিছু জানাননি।

মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এফবিআই-এর উপ-পরিচালক ড্যান বংগিনো, হোয়াইট হাউসের সন্ত্রাসবিরোধী প্রধান সেবাস্টিয়ান গোরকা ও পডকাস্টার স্টিভ ব্যানন ইউটিউব থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপে চাপ সৃষ্টি করেছিল বলে অ্যালফাবেট অভিযোগ করেছে।

চিঠিতে বলা হয়, হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাসহ বাইডেন প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা অ্যালফাবেটের সঙ্গে বারংবার যোগাযোগ করেছে এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত এমন কিছু কনটেন্ট নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছে। ওই কনটেন্টগুলো কোম্পানির কোন নীতি ভঙ্গ করেনি।

২০২১ সালে বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রশাসন প্ল্যাটফর্মগুলোকে ক্ষতিকর তথ্য অপসারণে আহ্বান জানায়।

জর্ডান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, আমাদের কাজের কারণে ও আমেরিকান জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ইউটিউব রাজনৈতিক বক্তৃতার ওপর থেকে তার সেন্সরশিপ নীতিগুলোকে প্রত্যাহার করছে। যার মধ্যে কোভিড ও নির্বাচনের মতো বিষয়গুলোও রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকানদের আর বলবেন না যে কী বিশ্বাস করতে হবে, আর কী নয়। 

অ্যালফাবেটের চিঠিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে ইউটিউব ফ্যাক্ট-চেকারদের কোম্পানির পরিষেবাগুলোতে কন্টেন্টের ওপর ব্যবস্থা নেওয়ার বা লেবেল করার ক্ষমতা দেয়নি ও দেবেও না।