বাসস
  ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৪৮

মে মাস থেকে সুদানের দারফুর অঞ্চলে কলেরায় ১৫৮ জনের মৃত্যু 

ঢাকা, ২৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : মে মাসের শেষ থেকে সুদানের দক্ষিণ দারফুর অঞ্চলে কলেরায় কমপক্ষে ১৫৮ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। 

সুদানের আধাসামরিক-নিয়ন্ত্রিত রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার খার্তুম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

নিয়মিত সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা লড়াইয়ের ফলে দারফুরের বেশিরভাগ অংশ আরএসএফের হাতে চলে গেছে এবং জীবন রক্ষাকারী সাহায্যের কোনও সুযোগ নেই।

উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল-ফাশারের আশেপাশে সেনাবাহিনীর হাতে থাকা শেষ অঞ্চলটি গত বছরের মে মাস থেকে আরএসএফ দ্বারা অবরুদ্ধ রয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ভিতরে আটকে থাকা বাকি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ দারফুরে প্রথম কলেরা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে, অঞ্চলের পাঁচটি রাজ্যেই কলেরা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

তবে দক্ষিণ দারফুরে এখনও অর্ধেকেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ অঞ্চলটিতে ভয়াবহ রোগটির প্রকোপ বেশি দেখি দিয়েছে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, তারা এখন পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮শ’ ৮০ জন রোগী শনাক্ত করেছে, যার মধ্যে ১৫৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  

শুধুমাত্র শুক্রবারেই ৪২ জনের দেহে এ রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মেডিকেল দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে যে, দারফুরের প্রাদুর্ভাব সুদানে বছরের পর বছর ধরে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং প্রতিবেশী দক্ষিণ সুদান ও চাদে ছড়িয়ে পড়ার হুমকি রয়েছে।

কলেরা হলো একটি তীব্র অন্ত্রের সংক্রমণ, যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে, বিশেষ করে মল থেকে ছড়িয়ে পড়ে।

এটি চিকিৎসা না করা হলে, কয়েক ঘন্টার মধ্যে রোগী মারা যেতে পারে। যদিও এটি সহজ মৌখিক পুনঃজলীকরণ এবং আরও গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে।

এমএসএফ জানিয়েছে, যুদ্ধের ফলে বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক স্থানচ্যুতি দারফুরের প্রাদুর্ভাবকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। কারণ থালা-বাসন ধোয়া ও খাবার তৈরির মতো প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থার জন্য মানুষকে পরিষ্কার পানি সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

উপদ্রুত এলাকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়াও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।