বাসস
  ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৫৫

গ্রীষ্মে ‘বাভারিয়ান ক্যারিবিয়ান’-এ বাড়তি পর্যটক, দুর্ঘটনার শঙ্কা

ঢাকা, ২৩ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : প্রতি বছর গ্রীষ্মে জার্মানির আলপাইন পর্বত হ্রদে গিয়ে বিপুল সংখ্যক পর্যটকরা প্রথমেই দেখতে পান, রাস্তায় বাসের ভিড় এবং পার্কিং এলাকায় গাড়ির ভিড়।

জার্মানির গ্রেনাউ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বাভারিয়ার এইবসি হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশি এবং পাহাড়ি দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসার ফলে অনেকেই সেখানে যাচ্ছেন। এতে সেখানে অতিরিক্ত পর্যটকের চাপের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় পৌর কর্মকর্তা ক্রিশ্চিয়ান আন্দ্রে জানান, লোকজনের মুখে এই হ্রদের প্রশংসা শুনে ভালোই লাগে। তবে এখানকার অতিরিক্ত ভিড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা জাগে।

ডেপুটি মেয়র আন্দ্রে বলেন, ‘৩ হাজার ৬০০ জন বাসিন্দার শহর গ্রেনাউতে প্রতি বছর প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার পর্যটক রাত্রিযাপন করেন এবং দিনের বেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।’

অনেকেই পরামর্শ দেন, হ্রদের দিকে পর্যটকদের গমন এবং প্রস্থানে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আন্দ্রে বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ বৈধ হবে না এবং এটি কার্যকর কোনো সমাধান নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘দর্শনার্থীদেরও নির্দিষ্ট কিছু কর্তব্য ও বিবেচনাবোধ থাকতে হবে।’ যদিও আপাতত, শহরটি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে এবং বর্তমান অবকাঠামোয় ‘নির্দিষ্ট পরিমাণে চাপ’ সহ্য করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, হ্রদটি নির্মল দেখাতে, পৌরসভার উদ্যোগে হ্রদের চারপাশে রাখা ডাস্টবিন থেকে ‘প্রায় দিনই’ ময়লা সরানো হয়।

আরো দুজন দর্শনার্থী, ২৭ বছর বয়সী ম্যাক্স ও ২৬ বছর বয়সী ইয়ান, হ্রদে যাওয়ার পথে দেড় ঘণ্টা সময় কাটান। তারা বলেন, যানজট পেরিয়ে তারা এ পর্যন্ত এসেছেন। তারা দুজনেই দ্বিতীয়বার হ্রদটিতে বেড়াতে এসেছেন।

ম্যাক্স বলেন, ‘আমি সত্যিই এখানে আবারো আসতে চেয়েছিলাম।’

ইয়ান বলেন, ‘দিন পার করে দেওয়ার জন্য এটি চমৎকার একটি জায়গা।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিপুল সংখ্যক পর্যটকের’ উপস্থিতি সত্ত্বেও এখানে কিছু ‘শান্তিপূর্ণ জায়গা’ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।