শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : মাদক পাচার রোধের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভেনিজুয়েলার উপকূলে তিনটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের মার্কিন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
তিনি এই অভিযানকে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের একটি 'অবৈধ' প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।
কারাকাস থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মাদুরোর ওপর চাপ বাড়িয়েছে, এই মাসের শুরুতে বামপন্থী এই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতারে সহায়তার পুরস্কার দ্বিগুণ করে ৫০ মিলিয়ন ডলার করেছেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে, একটি মার্কিন সূত্র এএফপিকে নিশ্চিত করেছে যে তিনটি এজিস-শ্রেণীর গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির আন্তর্জাতিক জলসীমার দিকে যাচ্ছে। মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে যে ৪ হাজার মেরিন সেনা সদস্যও মোতায়েন করা হতে পারে।
মাদুরো আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে তারা শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন, সামরিক সন্ত্রাসী হামলা করার হুমকি দিচ্ছে, যা অনৈতিক, অপরাধমূলক এবং অবৈধ।’
তিনি বলেন, ‘এটি ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের জন্য শান্তির, আন্তর্জাতিক আইনের বিষয়। যে কেউ ল্যাটিন আমেরিকার কোনও দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চলালে তা এ অঞ্চলের সমস্ত দেশকে আক্রমণের সামিল।’
২০২০ সালে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, মাদুরো এবং ভেনিজুয়েলার অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ‘মাদক-সন্ত্রাসবাদ’ ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণসহ বেশ ক’টি অভিযোগে মার্কিন ফেডারেল আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
মার্কিন বিচার বিভাগ মাদুরোকে ‘দ্য কার্টেল অফ দ্য সানস’ নামক একটি কোকেন পাচারকারী চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে। চক্রটি দুই দশক ধরে কয়েক শত টন মাদকদ্রব্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে এবং কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
মাদুরোর শেষ দুটি নির্বাচনে জয়কে ওয়াশিংটন স্বীকৃতি দেয় না।
মাদুরো এই সপ্তাহে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকির" জবাবে তিনি ভেনিজুয়েলা জুড়ে ৪৫ লাখ মিলিশিয়া সদস্য মোতায়েন করবেন এবং ওয়াশিংটনের নিন্দা জানিয়ে সপ্তাহান্তে সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছেন।